আলোচিত রাজনীতিক। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র। সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছিলেন ঢাকাটাইমসের সঙ্গে। কথা বলেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটির উন্নয়ন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে। কথা বলেছেন হাবিবুল্লাহ ফাহাদ
ঢাকাটাইমস: নতুন সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে প্রায় আড়াই বছর পার করেছেন। এর মধ্যে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কতটুকু উন্নয়ন করতে পেরেছেন বলে মনে করেন?
সেলিনা হায়াত আইভী: উন্নয়ন খুব যে একটা করতে পেরেছি তা বলব না। কারণ, যেভাবে কাজ করার কথা ছিল আমি হয়তো সেভাবে করতে পারছি না। এটা আমার অভিমত। তবে জনগণ হয়তো বলবে আমি অনেক কিছুই করেছি। কাজে কিছুটা সময় লাগার জন্য আমি কাউকে দোষ দেব না। এটা স্বাভাবিকভাবেই হচ্ছে। কারণ, নতুন একটি সিটি করপোরেশন গঠিত হলে কাজগুলো গুছিয়ে আনতে একটু সময় লাগে। নবগঠিত সিটি করপোরেশন বা পৌরসভায় কাজ করা প্রথম অবস্থায় কঠিন হয়। আমার প্রথম দুই বছর চলে গেছে নতুন দুটি পৌরসভা কদমরসুল ও সিদ্ধিরগঞ্জকে গোছাতেই। কারণ, সেখানে কর, লাইসেন্স ব্যবস্থাপনা খুবই খারাপ ছিল। নিয়মিত কাজগুলোও সেখানে হতো না। সেগুলোকে একটা অবস্থায় নিয়ে আসতেই একটু সময় বেশি চলে গেছে। পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকা-ও শুরু করেছি। তবে এরই মধ্যে আমি যেসব উন্নয়নমূলক কাজে হাত দিয়েছি মানুষ মনে করছে আমি চাইলে এর চেয়ে বেশি করতে পারি। মানুষ আরও দ্রুত চাচ্ছে।
ঢাকাটাইমস: সিটি করপোরেশনের উন্নয়নের অন্তরায়গুলো কী কী?
সেলিনা হায়াত আইভী: ব্যবস্থাপনার ঘাটতি শুরু থেকেই ছিল। তাছাড়া আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব যে বেশি ভালো তা নয়। কর আদায়টাও অনেক কম। এখন পর্যন্ত টাকাও পাচ্ছি না। উপরন্তু আমাদের যেসব প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা সেগুলো শুরু হবে আগামী ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে। তাছাড়া দক্ষ লোকবলের সংকটও আছে। এটা স্বাভাবিক কারণ, এখনও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদন হয়নি। সব সিটি করপোরেশনেই এনিয়ে চার-পাঁচ বছর লেগে গেছে। এছাড়া গাড়ির অপ্রতুলতা আছে। তবে আমি হতাশ নই। কিন্তু জনগণ পৌরসভায় আমাকে যেভাবে কাজ করতে দেখেছে সে অনুযায়ী তা মনে করছে, আমি আরও বেশি কাজ করতে পারি।
ঢাকাটাইমস: নারায়ণগঞ্জ সিটির পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কতটুকু উন্নয়ন করা গেছে?
সেলিনা হায়াত আইভী: বাংলাদেশের শহরগুলোতে এখনো উন্নত ড্রেনেজ, সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনার মূল পরিকল্পনা নেই। এখনো জাইকাসহ বিদেশি সংস্থাগুলো এনিয়ে কাজ করার আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমরা চাচ্ছি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এবিষয়ে মূল পরিকল্পনা করার চেষ্টা করছি। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটির জন্য ৫, ১০, ২৫, ৫০ বছরমেয়াদি ভিশন ঠিক করা হয়েছে। সম্প্রতি এটি আমরা করেছি। আমি জানি না এর কতটুকু শেষ করে যেতে পারব। তবে পরবর্তী সময়ে যিনিই আসুক তিনি চাইলে এগুলো এগিয়ে নিতে পারবেন।
ঢাকাটাইমস: নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ দুটি অংশে ভাগ হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। আওয়ামী লীগের একজন নেত্রী হিসেবে বিষয়টিকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
সেলিনা হায়াত আইভী: আমি আসলে আওয়ামী লীগের নেত্রী নই, একজন কর্মী। কর্মী হয়ে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে কাজ করতে চাই। দল যদি কখনো আমাকে বেরও করে দেয় তবেও আমি জয় বাংলাই বলব। সবাই জানে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে ভাগ আছে। শুধু নারায়ণগঞ্জেই নয়, পুরো বাংলাদেশেই আওয়ামী লীগের ভেতরে কমবেশি নেতৃত্বের কোন্দল ও প্রতিযোগিতা আছে। কিন্তু এখানে গত তিন বছর ধরে সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের দলের একটি পক্ষ সব সময়ই আমাকে জামায়াত-বিএনপি বানানোর চেষ্টা করছে। জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলে নির্বাচনের সময় অনেক অপপ্রচার করা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে। এখনো তা চলছে। তাদের উদ্দেশ্য এগুলো বলে আমাকে অন্যদিকে ঠেলে দেওয়া যায় কি না। এর আগেও তারা এ ধরনের কাজে সফল হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সাবেক সাংসদ গিয়াসউদ্দিন সাহেব তো একসময় কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। একটা সময় তিনি বাধ্য হয়ে বিএনপিতে চলে গেছেন। সাবেক সাংসদ আকরাম সাহেব আওয়ামী লীগ করতে এসে না পেরে অন্য দলে চলে গেছেন। এরকম নজির অনেক আছে।
ঢাকাটাইমস: তাহলে কী আপনার ক্ষেত্রেও এমনটি করা হচ্ছে?
সেলিনা হায়াত আইভী: অবশ্যই। তারা মনে করছে অতীতে এভাবে নেতাকর্মীদের হয়রানি করে দল ছাড়তে বাধ্য করেছেন, সফল হয়েছেন। একইভাবে আমার বেলাতেও সফল হতে চাইছেন। কিন্তু আমি তাদের স্পষ্টভাষায় বলতে চাই আইভী এত দুর্বল চিত্তের মানুষ নয়। কারণ, আমার একটি মূলনীতি আছি। আমি আওয়ামী লীগের আদর্শকে অনুসরণ করি। নেতৃত্বে গিয়েই যে দলের জন্য কাজ করতে হবে এটা আমি মনে করি না। নেতৃত্বের বাইরে থেকে কর্মী হয়েও অনেক কাজ করা যায়। সেজন্য তারা চাইলেও আমাকে জামায়াত-বিএনপি বানাতে পারবে না।
ঢাকাটাইমস: আপনার বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ বরাবরই সরব আছে। তারা প্রকাশ্য সভায় আপনাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু ওই অর্থে এসবের প্রতিবাদ করতে আপনাদের দেখা যায় না কেন?
সেলিনা হায়াত আইভী: প্রতিবাদ যে করছি না, তা নয়। কারণ, আমার হয়ে জনগণই অনেক উত্তর দিয়ে দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমার প্রতিবাদ করার কী আছে। যারাই আমার ব্যাপারে মঞ্চে দাঁড়িয়ে গর্জন দিচ্ছেন তারা কি একবার পেছনে তাকিয়ে শুনেছেন জনগণ তাদের কী বলছে। দিনের পর দিন তাদের অবস্থান কোথায় চলে যাচ্ছে, এটা যদি তারা বুঝতে পারতো তাহলে ফাঁকা মাঠে এত গর্জন দিত না। আর সব কথার প্রতিবাদ করতে হবে এমন কোনো কথ নেই। আমি আমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। পাগলের প্রলাপের মতো কে কী বললো, উত্তর দেওয়ার মতো সময় আমার নেই।
ঢাকাটাইমস: শুরু থেকে ত্বকী হত্যার জন্য আপনারা শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমানকে দায়ী করে আসছিলেন। অথচ এখন র্যাব তদন্ত করে পেয়েছে নাসিম ওসমান ও তার ছেলে আজমেরী ওসমান জড়িত। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
সেলিনা হায়াত আইভী: এ কথাটি সত্য, যখন আমি বিদেশে ছিলাম, তখনও রফিউর রাব্বীরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করত। এটা শামীম ওসমান বা অন্য কারো বিপক্ষে নয়। গতানুগতিকভাবে সাংস্কৃতিক জোট বা ওই ধরনের প্লাটফর্মগুলো বরাবরই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আসছিল। তবে হয়তো সর্বশেষ বাসভাড়া নিয়ে তারা যে প্রতিবাদ করেছিল সেটা খুব জোরালো ছিল। কিছু কিছু আন্দোলন ২০০৯ ও ২০১০ এর দিকে হয়েছে। সেগুলো সরাসরি ওসমান পরিবারের বিপক্ষেই গেছে বলা চলে। সেই কারণও থাকতে পারে। তাছাড়া আমার নির্বাচনের বিষয়টিও ছিল।
আমি ব্যক্তিগতভাবে সব সময়ই বলেছি, এই খুনটা ওসমান পরিবারের দ্বারাই সম্ভব। সেটা যেই হোক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা তদন্তকারী সংস্থাই খুঁজে বের করতে পারবে আরও অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা ছিল কি না। তবে আমরা এ পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে বের হওয়া খবরে দেখেছি এর সঙ্গে আজমেরী ওসমান সরাসরি জড়িত ছিল। সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো কারো কথায় কাজ করে না। তারা নিজস্ব গতিতেই তদন্ত করেছে। আরও কেউ এর সঙ্গে জড়িত ছিল কি না এটা ভবিষ্যৎই বলে দেবে।
ঢাকাটাইমস: বছর হয়ে গেল কিন্তু এখনও ত্বকী হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়নি। এর ওপর কারো প্রভাব আছে বলে আপনি মনে করেন?
সেলিনা হায়াত আইভী: আমাদের দেশে এমন কোথাও কোথাও কমবেশি একটু প্রভাব খাটানো হয়? এটা একেবারে ছোট হোক বা বড় হোক। এর মধ্যে তারা দুই ভাই (নাসিম ও শামীম ওসমান) সাংসদ। আগে থেকেই তারা প্রভাবশালী পরিবার। কমবেশি প্রভাব থাকতেই পারে। তবে আমি মনে করি, অন্য কোথাও থেকে কোনো প্রভাব নেই। যদি থাকতো তাহলে অভিযোগপত্রটি এ পর্যন্ত এগোতো না। আমি মনে করি, রাষ্ট্র নিরপেক্ষভাবেই তদন্ত করছে।
ঢাকাটাইমস: আগামীতেও এ বিচারে অযাচিত হস্তক্ষেপের আশঙ্কা কী করছেন?
সেলিনা হায়াত আইভী: এটা আগে থেকে বলা যাবে না। তবে ভবিষ্যৎই বলে দেবে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ হবে কি না। আর আমার অবস্থান এখন যা আছে তাই থাকবে। আমি কী আমার অবস্থান থেকে এতটুকু সরে গেছি?
ঢাকাটাইমস: অভিযোগ তোলা হয় দলে নেতৃত্বের কোন্দলের কারণে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের মধ্যে দুটি ভাগ।
সেলিনা হায়াত আইভী: আমি স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, এটা দলীয় কোনো কোন্দল নয়। এটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষে আমি কাজ করছি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন-খারাবি ইত্যাদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। এটা নিশ্চিতভাবে দলীয় পদ-পদবীর জন্য কোন্দল নয়। এটা আদর্শগত দ্বন্দ্ব। শহরের মানুষকে ভয় দেখিয়ে মুখবন্ধ করে রাখতে চাচ্ছেন, সেখানে সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছি।
ঢাকাটাইমস: মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধাদি নিশ্চিত করতে কাজ করবেন। কতটুকু করতে পেরেছেন?
সেলিনা হায়াত আইভী: আমি ঠিক এইভাবে কথাগুলো বলিনি। আমি ভালো করেই জানি আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা উন্নয়নের সাধ্য বা ক্ষমতা আমার নেই। কারণ, এটার বিভাগই আলাদা। আমি যে কথাটা সবসময় বলেছি, আমরা প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করব। নারায়ণগঞ্জ শহরের মানুষকে সন্ত্রাস-রাহাজানি ও চাঁদাবাজি থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করব। মানুষ আগে ভয়ে কথা বলত না। ত্বকীর আগে এ শহরে আরও খুন হয়েছে। ওসমান পরিবার এগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু কোনোদিন কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি। কিন্তু এখন মানুষ সোচ্চার হয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। নারায়ণগঞ্জ শহরে চাঁদাবাজির পরিমাণ খুবই কম। তবে বড় বড় কয়েকটি জায়গায় বন্ধ হয়ে যায়নি। সেখানে যদি আপনি প্রতিবাদ না করেন তাহলে আপনার পাশে গিয়ে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। তবে আগের পরিস্থিতি থেকে একটু হলেও ভালো অবস্থায় আমরা আছি। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যতক্ষণ না তাদের কার্যক্রম সঠিকভাবে করতে পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না।
ঢাকাটাইমস: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে না?
সেলিনা হায়াত আইভী: তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না এটা আমি বলব না। তবে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী বরাবরই যেই দল ক্ষমতায় থাকে তাদের হয়েই কাজ করে। আজকে যদি তারা (শামীম ও নাসিম ওসমান) সাংসদ না হয়ে অন্য কেউ হতো তাহলে তারাও প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করত। তাছাড়া ওনারা বারবার জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু আপনি খোঁজ নিয়ে দেখুন, বিগত সময়গুলোতে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে কতগুলো মামলা হয়েছে আর দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে কতগুলো মামলা হয়েছে। তাদের প্রতিপক্ষ জামায়াত নয়, নিজের দলের মধ্যেই যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে তারাই তাদের প্রতিপক্ষ।
ঢাকাটাইমস: যুবলীগ নেতা পারভেজ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আপনাদের দায়ী করা হচ্ছে।
সেলিনা হায়াত আইভী: যুবলীগ নেতা পারভেজকে কে বা কারা গুম করেছে এটা আমরা জানি না। পারভেজের পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে গুলশান থেকে পারভেজকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ছয় মাস পর ওই ঘটনায় নিজ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়ে। এরা সবাই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমার হয়ে কাজ করেছে। যুবলীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক, আমার ভাগ্নে লিমন, দলের পরীক্ষিতকর্মী আবু সুফিয়ানকে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাদেরকে ডিবি পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে গিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারা এক মাস জেল খেটে তার পর বেরিয়েছে। যে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে পাঁচ জনই আওয়ামী লীগের। জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেও মামলা দেওয়া হয়েছে। তারা তো আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা দিয়ে শেষ করতে পারছে না। জামায়াত-শিবিরকে ধরবে কখন?
নগরবাসী আমার সঙ্গে আছে। তা হলে এই প্রেক্ষাপটে আমি টিকে থাকতে পারতাম না। শুধু সিটি করপোরেশনই নয় সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকা-েও আমি জনগণকে পাশে পাচ্ছি।