বাসাটি নারায়ণগঞ্জ শহরের শায়েস্তা খাঁ সড়কে। ডোরবেল চাপতেই মধ্যবয়সী একজন এসে দরজাটি খুলে দিলেন। ভেতরে ঢুকে পরিপাটি বসার ঘর। একপাশে বইয়ের তাক বেশ সাজানো-গোছানো। মেঝের গালিচাটাও ঘরের শোভা বাড়িয়েছে। তবে সবকিছু এড়িয়ে বারবার চোখ যাচ্ছে দেয়ালে ঝোলানো সবুজ রঙের শার্ট পরা কিশোরের ছবিটির দিকে। ছবিটি সবার কাছেই খুব পরিচিত। পত্রপত্রিকাতেও অনেকবার ছাপা হয়েছে। বাসায় সবাই আছেন, কিন্তু নেই ছবির মানুষটি। গত বছরের ৬ মার্চ এই বাসা থেকেই বের হয়েছিল তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। তারপর আর ফেরা হয়নি। দুদিন পর শহরের চারারগোপে শীতলক্ষ্যা নদীর শাখা থেকে উদ্ধার হয় তার মরদেহ। বাবা রফিউর রাব্বির চোখেমুখে এখনও ছেলের শোক। ‘চাইলেই কি ভোলা যায়? এর চেয়ে দামি রতœ আমি আর কোথা পাবো?’ জলে চোখ ছলছল বাবার।
দেখতে দেখতে একটি বছর পার। তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় গুছিয়ে এনেছে র্যাব। যেকোনো সময় অভিযোগপত্র উঠবে আদালতে। শুধু ত্বকীর পরিবার নয় গোটা নারায়ণগঞ্জবাসীই অপেক্ষায় হত্যাকারীর বিচার দেখার। এসব নিয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বির সঙ্গে কথা হয় ঢাকাটাইমসের। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাবিবুল্লাহ ফাহাদ। সঙ্গে ছিলেন আমির হুসেইন স্মিথ।
ঢাকাটাইমস: ত্বকী হত্যা মামলায় র্যাবের তদন্তে নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানসহ ১১ জনের নাম উঠে এসেছে। এদের মধ্যে শামীম ওসমান কিংবা তাঁর ছেলে কেউই নেই। অথচ আপনি তাদের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
রফিউর রাব্বি: ত্বকী হত্যা মামলাটির প্রথম তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কিন্তু পুলিশ যখন অনেকটা নিশ্চিত হয় ওই হত্যার সঙ্গে ওসমান পরিবার যুক্ত তখন তারা এ কাজ নিয়ে গড়িমসি করতে থাকে। এটি বুঝতে পেরে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করি মামলাটির তদন্ত দায়িত্ব র্যাবের কাছে দেওয়ার জন্য। পরে আদালতের নির্দেশে এটি র্যাবকে দেওয়া হয়। হত্যাকা-ের পর গত বছরের ১৮ মার্চ পুলিশের কাছে আমরা যে অবগতিপত্র দেই সেখানে শামীম ওসমান, তাঁর ছেলে অয়ন ওসমানসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করি। সেখানে অজ্ঞাত আরও আট-দশজন ছিল। সে সময়ে আমাদের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই বিষয়টি সঠিক বলে মনে করেছি। এর দুই-একদিনের মধ্যে আমরা নিশ্চিত হই ওই ঘটনার সঙ্গে আজমেরী ওসমানও যুক্ত। গত বছরের ২৬ মার্চের জনসভায় আমরা বলেছিলাম, আজমেরী ওসমানের টর্চার সেলেই ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তী সময় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জবানবন্দিতেও এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু এই হত্যাকা-ের সঙ্গে অয়ন ওসমান অবশ্যই জড়িত। কারণ, র্যাবের তদন্তে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জের শ্রম কল্যাণ এলাকা থেকে ত্বকীকে অপহরণ করা হয়েছে। আর এই জায়গাটা অয়ন ওসমান এবং তাদের লোকজনের উঠাবসার জায়গা। তাই অপহরণের সঙ্গে অয়ন ওসমান জড়িত। যে বিষয়টি এখনো র্যাবের তদন্তে অনুদঘাটিত থেকে গেছে। র্যাব আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে আমি মনে করি। তবে যদি পুরো ঘটনাটি উদঘাটন করা যায় তাহলে অভিযোগ থেকে অয়ন ওসমান বাদ যাওয়ার কোনো কারণ নেই। তক্বী হত্যার সঙ্গে অয়ন ওসমানও জড়িত।
ঢাকাটাইমস: অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর আপনাদের আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ থাকবে বলে মনে করেন?
রফিউর রাব্বি:অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। তাছাড়া শামীম ওসমান ও অয়ন ওসমানদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হলে তা কোনো কাজে আসবে না। তারা যদি মনে করেন রাষ্ট্র তাদের পেছনে আছে, তাহলে এটাও মনে রাখতে হবে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, সারা দেশের মানুষ ত্বকী হত্যার বিচার চায়। ওসমান পরিবারকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
ঢাকাটাইমস: হত্যার উদ্দেশ্য কী ছিল বলে আপনি মনে করেন?
রফিউর রাব্বি: কী উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়েছে র্যাবের তদন্তে তা বেরিয়ে এসেছে। সিটি করপোরেশনের নির্বাচন এবং বাসভাড়া বাড়িয়ে তাদের চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়গুলো কারা করেছে? সিটি করপোরেশন নির্বাচন কে করেছিল? শামীম ওসমান এক লাখ ভোটের ব্যবধানে সেলিনা হায়াত আইভীর কাছে হেরেছিল। তাই এখানে প্রতিপক্ষ বা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শামীম ওসমান ও নাসিম ওসমানরা। বাসভাড়া বাড়িয়ে চাঁদার টাকা লুট, এ কাজটি শামীম ওসমান দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে। বাস মালিকরাও লিখিতভাবে র্যাবের কাছে অভিযোগ করেছে।
বিষয়টি হচ্ছে, আজমেরী ও অয়ন ওসমান এদের কাউকে আজও আমি সামনা সামনি দেখিনি। এদের সঙ্গে পরিচয় থাকার কোনো কারণ নেই। ত্বকীর সঙ্গেও এদের পরিচয় থাকার কোনো কারণ ছিল না। তাহলে ত্বকীকে আজমেরী ও অয়ন ওসমান হত্যা করবে কেন? যেহেতু তাদের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই তাহলে তারা কারো নির্দেশে হত্যা করেছে। সেই নির্দেশদাতারা হচ্ছে শামীম ওসমান ও নাসিম ওসমান।
ঢাকাটাইমস: ত্বকী হত্যা মামলার অভিযোগপত্র এখনো দেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে দেবে বলে শোনা যাচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে এ ব্যাপারে কোনো খোঁজ নিয়েছেন?
রফিউর রাব্বি: অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার আগে অনেক খুঁটিনাটি বিষয় থাকে। আমি শুরু থেকেই বলে আসছিলাম অভিযোগপত্রটি দেওয়ার জন্য দেওয়া নয়। এমন কোনো ফাঁকফোকর যেন না থাকে যেটা দিয়ে অপরাধীরা বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। আমার মনে হয়, অভিযোগপত্রটি সঠিক ও তথ্যভিত্তিক করার জন্য র্যাব সময় নিচ্ছে।
ঢাকাটাইমস: এমন একটি পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে যেখানে দুজন সংসদ সদস্য আছেন। এই বিষয়টি ত্বকী হত্যা বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করেন?
রফিউর রাব্বি: শুরু থেকেই এই বিচার নিয়ে গড়িমসি ও কালক্ষেপণের ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও এই বিচার কাজটি বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। সরকারের অনেক ব্যক্তি ত্বকী হত্যা মামলার বিষয়ে নানাভাবে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জনগণের শক্তি বলে একটা বিষয় আছে। আজকে শামীম ও নাসিম ওসমান দুই ভাই সাংসদ। আমরা বলেছিলাম, তাদের কাছে সংসদ সদস্য পদটা হচ্ছে লুটপাট করে টাকা-পয়সা আয় করা, খুন-খারাবির মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং আখের গোছানোর উপায়। ত্বকীর আগে তারা ডজন ডজন খুন করেছে। ১৯৮৮ সাল থেকে তারা খুন শুরু করেছে। ওই সময় তালে সর্দারের ছেলে কামালকে তারা খুন করেছে। সেই সময়ও বড় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। তা ঠেকানোর জন্য নিজেদের কর্মী কালামকে হত্যা করে কামালের আত্মীয়স্বজন যারা মামলা করেছিল তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দেওয়া হয়। একই প্রক্রিয়ায় তারা ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে যারা মামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার চেষ্টা করছে। জনগণের সেবা বা রাষ্ট্র পরিচালনার কোনো পরিকল্পনা বা ইচ্ছা তাদের নেই। ইতিপূর্বে তাদের দিয়ে নারায়ণগঞ্জে কোনো উন্নয়ন হয়নি।
ঢাকাটাইমস: যুবলীগ নেতা পারভেজ নিখোঁজ হওয়ার পেছনে আপনারা দায়ী বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
রফিউর রাব্বি: ত্বকী হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ত্বকী হত্যার বিচার যারা চাইছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পারভেজের গুম নিয়ে তারা মামলা করেছে। মেয়র আইভীর ভাইয়ের নামে, কৃষকলীগ নেতা রোকনউদ্দিনের ছেলের নামে, যুবলীগ সভাপতি কাদেরের ছেলেসহ আরো কয়েকজনের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। এরা সবাই ত্বকী হত্যার বিচার চায় বলে তাদের ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। অথচ পারভেজকে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে গুলশান-২ নম্বর এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, পারভেজের স্ত্রী গুমের পর সংবাদ সম্মেলন করে তা জানিয়েছে। তবে আমরা মনে করি, পারভেজকে শামীম ওসমান নিজে গুম করেছে। কারণ, এই পারভেজ শামীম ওসমানের বহু অপকর্মের সাক্ষী। ২০০১ সালে পারভেজ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। তখন সেই গাড়িতে শামীম ওসমানের স্ত্রীও ছিল। পারভেজ ত্বকী হত্যারও সাক্ষী বলে আমি মনে করি। এই জন্যই শামীম ওসমান এ নাটক সাজিয়েছে।
ঢাকাটাইমস: আজমেরী ওসমানের ‘টর্চার সেল’ থেকে একটি রক্তমাখা প্যান্ট উদ্ধার করা হয়েছিল। সেটি আসলে কার ছিল?
রফিউর রাব্বি: রক্তমাখা প্যান্টটি ত্বকীর ছিল না। কারণ, ত্বকীর লাশ যখন আমি শনাক্ত করি তখন তার পরনে প্যান্ট ছিল। আমি ধারণা করছি এই প্যান্টটি আশিকের। ২০১১ সালের মে মাসে আশিককে হত্যা করা হয়েছিল এ টর্চার সেলেই। তার লাশটিও শীতলক্ষ্যাতেই পাওয়া গিয়েছিল। আগুন দিয়ে পুরোমুখ ঝলসে দেওয়া হয়েছিল। তার পরনে প্যান্ট ছিল না। আন্ডারগার্মেন্ট ও হাতের আংটি দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়েছিল। ওই টর্চার সেলে একজন দুইজন নয়, অনেককে তারা হত্যা ও নির্যাতন করেছে। সেখানে এসবের আলামত ছিল। আসবাবপত্রে ও দেয়ালে গুলির দাগ দেখা গেছে। তাছাড়া ত্বকী হত্যায় ব্যবহৃত গজারির লাঠি ও দড়ি সেখানে পাওয়া গেছে।
ঢাকাটাইমস: ত্বকী হত্যার বিচার দাবি করায় কোনো ধরনের চাপ আপনাদের ওপর আছে?
রফিউর রাব্বি: ব্যক্তিগত কোনো চাপ আমার প্রতি নেই। তবে শামীম ওসমানরা প্রকাশ্য জনসভায় আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি অহরহ দিয়ে আসছেন।
ঢাকাটাইমস: স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ভূমিকা এক্ষেত্রে কী।
রফিউর রাব্বি: একটা অসভ্য বর্বর সমাজের কতগুলো বৈশিষ্ট্য থাকে। নারায়ণগঞ্জে এ ধরনের বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। নারায়ণগঞ্জে পাঁচ থেকে ছয়টি টর্চার সেল আছে। যেখানে নারায়ণগঞ্জের মানুষদের নিয়ে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। এই বিষয়গুলো আমরা অসংখ্যবার পুলিশ প্রশাসনকে দিয়েছি। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং নারায়ণগঞ্জে কোনো টর্চার সেল নেই, এরকম কথাও পুলিশ প্রশাসনের মুখ থেকে আমরা শুনেছি। অথচ র্যাব এসবের অস্তিত্ব পেয়েছে এবং জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়েছে। এই প্রশাসন নারায়ণগঞ্জের মানুষের নিরাপত্তা কীভাবে দেবে?
ঢাকাটাইমস: কেন এসব হচ্ছে?
রফিউর রাব্বি: কারণ, ওসমান পরিবার এখানে অনেক প্রভাবশালী একটি পরিবার। তাছাড়া এ পরিবারে দুজন সাংসদ। তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এখানে মুখ্য নয়। যার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ঢাকাটাইমস: ত্বকী হত্যার পরও নারায়ণগঞ্জে গত এক বছরে আরো ১৩টি শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে।
রফিউর রাব্বি:বিভিন্ন কারণে এদের হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু হত্যা করে পার পাওয়া যায় এই সংস্কৃতি যদি চালু হয়ে যায় তবে ভবিষ্যতে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে। একমাত্র বিচারই পারে এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে।
ঢাকাটাইমস: হত্যা-নির্যাতন ও দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে নারায়ণগঞ্জের মানুষের মুক্তি কী খুব দূরে?
রফিউর রাব্বি:এটা দীর্ঘদিন ধরে চলবে এটা বলা যাবে না। তবে এর সঙ্গে যেহেতু রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা জড়িত তাই হয়তো সময় লাগবে। নারায়ণগঞ্জে একটি পরিবার (ওসমান) জনগণের ঘাড়ের ওপর সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে বসে আছে। জামায়াত-শিবিরকে নারায়ণগঞ্জের মাটি থেকে উৎখাতের কথা বলে। অথচ বিগত সময়ে নিজ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা দিয়েছে তারা সেই তুলনায় জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপই চোখে পড়েনি। শামীম ওসমানের শ্বশুর জামায়াতের সঙ্গে জড়িত। তিনি ইসলামী সমাজের সদস্য, যার সদস্য ছিলেন জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদও। নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলামকেও শামীম ওসমান মদদ দিয়েছেন। বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিপক্ষদের জামায়াত-শিবির বলে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন।