গ্রেপ্তারবাণিজ্য করে কোটিপতি পুলিশ সুপার নাহিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
৩০ এপ্রিল, ২০১৪ ১২:৪৩:৩৫

ঢাকা: পুলিশের মধ্যে দেদার চলছে গ্রেপ্তার বাণিজ্য। গ্রেপ্তার বাণিজ্য করে রাতারাতি পুলিশ কর্মকর্তারা বনে যাচ্ছেন কোটিপতি।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ অবৈধভাবে আয় করছে পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের শতাধিক সদস্য। কনস্টেবল থেকে পুলিশ সুপার পর্যন্ত ওই টাকা ভাগ বাটোয়ারা হয়। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ রয়েছে মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা এসব বিষয়ে প্রতিবেদন দিলেও এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
গ্রেপ্তার বাণিজ্য করে গত কয়েক মাসে কোটিপতি হয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুরের পুলিশ সুপার নাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
সরকারের গোয়েন্দা রিপোর্টে তার বিরুদ্ধে অন্তত ২৯টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই টাকার বিনিময়ে আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি কবে কখন কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন তা ওই রিপোর্টে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
রিপোর্টে দেখা গেছে, গত কয়েক মাসে তিনি আটক বাণিজ্যের মাধ্যমে আয় করেছেন ২ কোটি তিন লাখ ৬২ হাজার টাকা।
টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া আটক ব্যক্তিদের অধিকাংশই জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী, এমনকি দাগী আসামি ছেড়ে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
তবে পুলিশ সুপার নাহিদুল ইসলাম গ্রেপ্তার বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কাউকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার সাথে আমার সম্পর্ক নেই।
ওই রিপোর্টে টাকার বিনিময়ে আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়ার এরকম ১৯১টি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর প্রায় এক-চতুর্থাংশ অভিযোগ মেহেরপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।
এ এলাকায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা ২৪টি ঘটনায় প্রায় এক কোটি ৭০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
গোয়েন্দা রিপোর্টে সারা দেশে একশ পাঁচজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত পুলিশ বাহিনী নিজেরাই করলে সেই তদন্তের পরিণতি নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায় বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
(ঢাকাটাইমস/৩০এপিল/এএসএ)