তোপের মুখে হোয়াটসঅ্যাপ
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২০ আগস্ট, ২০১৪ ০১:৫৪:২৭

ঢাকা: হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, স্কাইপ, উইচ্যাটের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলো দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। সে তুলনায় কমছে ফোন কল ও মোবাইল এসএমএসের ব্যবহার। বিভিন্ন ধরনের ইনস্ট্যান্ট মেসেজিংয়ের জনপ্রিয়তার কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে ভারতের টেলিকম অপারেটররা। তাদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছে ভারতের টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা (টিআরএআই)। হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, স্কাইপ, উইচ্যাটের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলো থেকে অর্থ আদায় করার পরিকল্পনা করছে টিআরএআই। বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন থেকে অর্থ আদায়ের পরিকল্পনাকে তুলনা করা হয়েছে স্থানীয় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্রের ব্যবসা কমে যাওয়ায় সৌর প্যানেলের ওপর কর বসানোর যুক্তির সঙ্গে।
টিআরএআইয়ের এ পরিকল্পনার সমালোচনা করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং বিকশিত হতে না দিলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তিভিত্তিক অর্থনীতি ক্ষতির মুখে পড়বে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, টেলিকম অপারেটরদের লাভ কমলেও ভিওআইপির কল্যাণে দূরে কল করার খরচ কমেছে আর ওয়েব মেসেঞ্জারের কল্যাণে বিনা মূল্যের এসএমএস-সেবা পেয়ে মোবাইলে পয়সা খরচ করে বার্তা পাঠানো কমেছে। ব্যবসার প্রেক্ষাপট এখন বদলেছে। অতীতে আঁকড়ে না থেকে সবাইকে বাস্তবতা মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এর পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাবলিক পে-ফোনের ব্যবহার কমে যাওয়ায় এখন মোবাইল অপারেটররা নিশ্চয়ই ক্ষতিপূরণ দিতে যাবেন না। এ ছাড়া অপারেটররা টুজি বা থ্রিজি নেটওয়ার্ক সংযোগ একেবারেই বিনা মূল্যে তো আর দেয় না। ডাটা ব্যবহারের জন্য প্রতি মাসে খরচ দিতে হয় ব্যবহারকারীকে।
প্রতিবেদনে ওয়েব মেসেজিং সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, এখনো মোবাইল এসএমএসের পুরোপুরি বিকল্প হয়ে উঠতে পারে মেসেঞ্জার অ্যাপ্লিকেশন। মোবাইলে বার্তা পাঠানোর চেয়ে মানুষ এখন হোয়াটসঅ্যাপে বেশি করে চ্যাট করে। অর্থাত্ মানুষের মধ্যে চ্যাট করার বিষয়টি বাড়িয়েছে ওয়েবের মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনগুলো। এখন মোবাইল অপারেটরগুলো ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির যুক্তি দেখালেও তা গ্রহণযোগ্য নয়। এ ক্ষেত্রে লাখ লাখ মানুষের সুবিধার কথা ও নতুন সম্ভাবনার বিষয়টি দেখতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনস্ট্যান্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলো থেকে অর্থ আদায়ে মোবাইল অপারেটরদের প্রস্তাবনা ব্যর্থ হলে অ্যাপ্লিকেশনগুলোর নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নতুন করে অভিযোগ শোনা যাবে। এখন ভারতের টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেই লাখ লাখ মানুষের সুবিধা ও প্রযুক্তি ব্যবসা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে নীতি নির্ধারণ করতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/ ২০ আগস্ট/ এইচএফ/ঘ.)