logo ৩০ এপ্রিল ২০২৫
আসলামুল হকের অনুসন্ধান প্রক্রিয়া অব্যাহত
রুহুল হক ও জব্বারের অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে
মহিউদ্দিন মাহী, ঢাকাটাইমস
২৯ আগস্ট, ২০১৪ ১৩:৪৭:৫৯
image

ঢাকা: আয়ের অতিরিক্ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মহাজোট সরকারের গত মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলেন এমন সাত নেতার মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে বাকি চার জনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি এখনও অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে। এরইমধ্যে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আফম রুহুল হকের সম্পদ অনুসন্ধানের। তবে সার্কভাবে অনুসন্ধান চলছে ঢিমেতালে।


রুহুল হকের অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহে প্রতিবেদন জমা হবে বলে জানিয়েছে দুদক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। অনুসন্ধান প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কী ব্যবস্থা নেবো সেটা নির্ভর করবে অনুসন্ধান কর্মকর্তা কি সুপারিশ করে তার উপর।’


অনুসন্ধান কর্মকর্তা মির্জা জাহিদুল আলমের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এসম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারবো না।’


তবে দুদক সূত্রে জানা গেছে, রুহুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে ইতিবাচক সুপারিশ রয়েছে। হয়তো রুহুল হক দুদকের মামলা থেকে রেহাই পেয়ে যাবেন।


এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য এমএ জব্বারও পার পেয়ে যাবেন। তার অনুসন্ধানও শেষ পর্যায়ে। তবে কবে নাগাদ প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে তা জান যায়নি। সূত্র বলছে, তিনি মহাজোট সরকারের গত মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সেই অর্থে কোনো অভিযোগ পাননি অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান।


জানতে চাইলে মাসুদুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘অনুসন্ধান চলাকালে আমার কথা বলার ইখতিয়ার নেই।’


অন্যদিকে ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ আসলামুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। তবে তার অনুসন্ধান প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে। কবে নাগাদ অনুসন্ধান প্রতিবেদক জমা দেয়া হবে তা বলতে পারেননি অনুসন্ধান কর্মকর্তা শেখ মেজবাহ উদ্দিন।


জানতে চাইলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘অনুসন্ধান চলছে। কবে নাগাদ শেখ হবে তা বলা যাচ্ছে না।’ 


রাজশাহী-৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য এনামুল হকের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান চলমান আছে। তবে তার অনুসন্ধান শেষ হতে সময় লাগবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।


কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনুসন্ধান শুরুর ছয় মাস পর গত ২৪ আগস্ট এনামুল হককে তলব করেছে দুদক। এ কারণে তার অনুসন্ধান প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে।


যদিও এর আগে গত ৯ মার্চ সাত কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের বিবরণী নতুন করে জমা দিতে এমপি এনামুল এবং তার স্ত্রী তহুরা হককে নির্দেশ দেয় দুদক। কিন্তু এমপি এনামুল তা করেননি এবং এরজন্য সময় বাড়ানোরও কোনো আবেদন করেননি। অবশেষে গত ১ এপ্রিল তিনি দুদকে তার সম্পদের হিসাব জমা দিলে দুদক তা রাখতে অস্বীকার করে। কারণ হিসেবে দুদকের নির্দেশের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।


তবে অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায়ের কাছে জানতে চাইলে ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘অনুসন্ধান শেষ তার সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে। এর বেশি কিছু নয়।’


গত ২১ আগস্ট ক্ষমতাসীন দলের তিন নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এরা হলেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, পটুয়াখালী-৪ আসনের বর্তমান সাংসদ ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান এবং কক্সবাজার-৪ আসনের সাংসদ আবদুর রহমান ওরফে বদি।


রাজধানীর রমনা থানায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় পৃথক তিনটি মামলা করেন দুদকের তিন উপ-পরিচালক। এরআগে একই দিনে দুদকের নিয়মিত বৈঠকে তাদের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।


মামলার নথি থেকে জানা যায়, এরা তিন জনই দুদকের কাছে জমা দেয়া সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। মান্নান খান চার লাখ ৫৯ হাজার ৫৯৭ টাকা মূল্যমানের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে তিনি ৭৫ লাখ চার হাজার ২৬২ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।


মাহবুবুর রহমান এক কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং পাঁচ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন।


আর আবদুর রহমান বদি সম্পদ বিবরণীতে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।


এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের সাংসদদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি ইতিবাচক। এটা সরকারের একটি ভাল কাজ। তবে বিষয় শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটাই দেখার বিষয়। এছাড়া বাকি যারা আছেন তারাও যদি বিচারের আওতায় আসে তাহলে এটি হবে সুশাসনের উদাহরণ।’


জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সরকারদলীয় বড় নেতাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার বিষয়টি খবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা দেখে মনে হচ্ছে সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এটি অবশ্যই ইতিবাচক দিক বলে আমার কাছে মনে হয়।’


তবে সার্বিক বিষয় নিয়ে দুদক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, ‘তিনজনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’  তবে এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। 


 বিগত মহাজোট সরকারের সাত মন্ত্রী-সাংসদের বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির অভিযোগ উঠলে দুদক গত ২২ জানুয়ারি তা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনী হলফনামাকে ভিত্তি করে এই অনুসন্ধান শুরু হয়। এরপর প্রায় আট মাস অনুসন্ধান শেষে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।


যাদের বিরুদ্ধে মামলা:


মান্নান খান: দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন এ মামলার এজাহারে জানিয়েছেন, সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী দুদকে জমা দেয়া সম্পদ বিবরণীতে চার লাখ ৫৯ হাজার ৫৯৭ টাকা মূল্যমানের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। একইসঙ্গে তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে ৭৫ লাখ চার হাজার ২৬২ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।


মাহবুবুর রহমান: দুদকের উপ-পরিচালক খায়রুল হুদা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত পাঁচ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন এবং দুদকের কাছে জমা দেয়া সম্পদ বিবরণীতে আরও এক কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে।


হলফনামায় স্ত্রী প্রীতি হায়দারের কাছ থেকে ২০০৮-০৯ করবর্ষে ৪০ লাখ এবং ২০১০-১১ করবর্ষে এক কোটি টাকা পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।


কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০০৯-১০ করবর্ষে প্রীতি হায়দার প্রথম কর সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) গ্রহণ করেন এবং ২০১০-১১ করবর্ষে প্রথম রিটার্ন দাখিল করেন। অন্যদিকে ওই করবর্ষে প্রীতি হায়দার ব্যবসা করে তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা আয় দেখিয়েছেন এবং সম্পদ ও দায়-বিষয়ক আইটি-১০বি ফর্মে প্রীতি তার ভাইয়ের কাছ থেকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা পেয়ে এক কোটি টাকা স্বামী মাহবুবুর রহমানকে দিয়েছেন বলে লিখেছেন। কিন্তু ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার ও স্বামীকে টাকা দেয়ার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।


একইভাবে হলফনামায় জনৈক বিপুল হাওলাদারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন মাহবুবুর রহমান। কিন্তু বিপুল হাওলাদার এ অর্থ দেননি বলে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়ে দিয়েছেন।


হঠাৎ মাছ চাষ করে ২০১১-১২ করবর্ষে দুই কোটি টাকা আয় ও ২০১৩-১৪ করবর্ষে দেড় কোটি টাকা এবং মেয়ের বিয়ের উপহার হিসেবে নগদ ৮০ লাখ টাকা পেয়েছেন বলে জানালেও দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা মাছ চাষ থেকে আয়ের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাননি। আর মেয়ের বিয়ের উপহার হিসেবে নগদ অর্থ প্রাপ্তির স্বপক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণও মেলেনি।


তাঁর আয়কর নথি পর্যালোচনা করে দুদক দেখেছে, মোট পাঁচ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই। এই অর্থ তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অর্জন করেছেন।


আবদুর রহমান বদি: কক্সবাজার-৪ আসনের এ সাংসদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখাতে কমদামি সম্পদকে বেশি দাম (এক কোটি ৯৮ লাখ তিন হাজার ৩৭৫ টাকা) দেখানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সোবহান।


দুদক নোটিশ দিলে বদি প্রায় ১১ কোটি টাকা সমমানের বিভিন্ন ধরনের সম্পদের তথ্য গোপন করেন। বদি নিজ নামে ও স্ত্রী-সন্তানদের নামে মাত্র পাঁচ কোটি ২০ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৮ টাকার তথ্য দুদকের সম্পদ বিবরণীতে দাখিল করেছেন। অথচ বিভিন্ন করবর্ষের আয়কর নথি থেকে দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৩০ জুন ২০১৩ পর্যন্ত বদির মোট আয় ১৬ কোটি ছয় লাখ ৯৬ হাজার ২০৭ টাকা। এ ছাড়া সম্পদ অর্জনের উৎস হিসেবে বিভিন্ন ধরনের আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার কথা বললেও বদি দুদকের কর্মকর্তার কাছে এ-সম্পর্কিত কোনো প্রমাণাদি দেখাতে পারেননি।


অনুসন্ধান চলছে যাদের:


আ ফ ম রুহুল হক: হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর স্ত্রী ইলা হকের ব্যাংক ব্যালান্স বেড়েছে ১৬৫ গুণ। একই সময়ে অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের ব্যাংক ব্যালান্স বেড়েছে ১০ গুণ। পাঁচ বছর আগে নির্বাচনী মাঠে নামার সময় রুহুল হক ও তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করা টাকার পরিমাণ ছিল ৯২ লাখ টাকা। এখন তাদের ব্যাংক ব্যালান্সের পরিমাণ ১০ কোটি ১৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ২০০৮ সালে স্ত্রীর নামে ব্যাংকে ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩০ টাকা। এখন ৭ কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার ২৪০ টাকা। এ ক্ষেত্রে পাঁচ বছরে বেড়েছে ১৬৫ গুণ। সঞ্চয়পত্রে এবার প্রায় দ্বিগুণ হয়ে নিজের নামে হয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ ৬৫ হাজার ৯২২ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ৫৬৫ টাকা।


আসলামুল হক: আসলামুল হকের জমির পরিমাণ বেড়েছে ৩৪ গুণের বেশি। ২০০৮ সালে হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তিনি ও তার স্ত্রী মাকসুদা হক ৪ একর ১৯.৫ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন। সে সময় ওই জমির মূল্য ছিল ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা। দশম সংসদ নির্বাচনে পেশ করা হলফনামায় তিনি ও তার স্ত্রীর জমির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১৪৫ দশমিক ৬৭ একর (১৪ হাজার ৫৬৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ) এবং দাম উলেল্গখ করা হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৯২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা।


এনামুল হক: ২০০৮ সালে শুধু বেতন-ভাতা থেকে তার বছরে আয় ছিল ২০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর পর এখন কৃষি, বাড়ি ও দোকানভাড়া, ব্যবসা ও পেশা থেকে বছরে তার আয় হয় ৫০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে তার পরিবারের পোষ্যদের ৭ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা বার্ষিক আয় থাকলেও এবারের হলফনামায় পোষ্যদের কোনো আয়ের উৎস নেই উল্লেখ করা হয়। তার নিজের, স্ত্রীর ও অন্যদের মোট ১৬ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার সাধারণ শেয়ার থেকে কোনো আয় নেই উল্লেখ করা হয় হলফনামায়। পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রীর নামে থাকা ২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকায়।


এমএ জব্বার: ২০০৮ সালের হলফনামায় বলা হয়, ওই সময় তার বার্ষিক আয় ছিল কৃষি খাতে ২০ হাজার, বাড়ি, দোকানভাড়া থেকে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭২৯ টাকা এবং শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে ৪৯ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে ২৩ দশমিক ৩৬৬ একর, স্ত্রীর নামে ১১ দশমিক ২৩৫ একর ও নির্ভরশীলদের নামে ৪ দশমিক ০৪৮ একর কৃষিজমি ছিল। অকৃষিজমির মধ্যে নিজ নামে ৭৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪০২ টাকার জমিসহ একটি দালান এবং ঢাকা ও খুলনায় ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮২৬ টাকা মূল্যের চারটি দালান উল্লেখ করা হয়েছিল।


(ঢাকাটাইমস/২৯আগস্ট/এমএম/এএসএ)