logo ২৯ এপ্রিল ২০২৫
মাঠ প্রশাসনে শূন্যতা পূরণে পদোন্নতিতে সংশোধন আসছে
হাবিবুর রহমান, ঢাকাটাইসম
২২ অক্টোবর, ২০১৪ ২০:৪৩:৪৭
image

ঢাকা: মাঠ প্রশাসনকে আরো গতিশীল করতে চাইছে সরকার।এ লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ধরে রাখতে পদোন্নতি বিধিমালায় সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


পিএইচডিসহ নানা গবেষণামূলক কাজের কথা বলে কর্মকর্তারা বছরের পর বছর বিদেশের মাটিতে পড়ে থাকায় মাঠ প্রশাসনে এক ধরণের শূন্যতা বিরাজ করছে।আর এই শূন্যতা পূরণেই নিয়োগ-বদলি ও পদোন্নতির নীতিমালায় বেশ কিছু সংশোধী্ আনা হচ্ছে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনারদের(ভূমি)বেশ কিছু পদ বর্তমানে খালি রয়েছে।


এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে প্রশাসনিক কাজে গতি আনা যাচ্ছে না। এ নিয়ে মাঠ প্রর্যায়ে জনগণের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভও বিরাজ করছে।


নতুন সংশোধনীতে উপ-সচিব পদে পদোন্নতির জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এছাড়া পিএইচডি করার নামে বছরের পর বছর বিদেশে অবস্থান করার বিধানেও সংশোধনী আনা হচ্ছে।


বিদ্যমান ব্যবস্থায় শুধু জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মাঠ প্রশাসনে পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক রয়েছে। আর এখন সেটি উপ-সচিব পদে পদোন্নাতির ক্ষেত্রেও যুক্ত করা হচ্ছে।


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: শাহজাহান আলী মোল্লা ঢাকাটাইমসকে বলেন, মাঠ প্রশাসনে বেশিরভাগ কর্মকর্তাকে ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এ প্রবণতা দীর্ঘদিন চলে আসছে। এখন এর লাগাম টেনে ধরা দরকার। সে জন্য পদোন্নতির নীতিমালায়ও সংশোধনী আনা হচ্ছে।


প্রশাসন ক্যাডারের কোন কর্মকর্তাকে নিজ (জন্মস্থান বিবেচনায়) বিভাগের মধ্যে নিয়োগ-বদলি না করার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে।এর আগে তা জেলা পর্যায়ে সীমাবদ্ধ ছিল।


সরকারি এ উদ্যোগের কথা জেনে প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, এখন যেসব কর্মকর্তা এই ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন তাদের অনেকেরই মাঠ প্রশাসনে এক দিনের কাজ করারও অভিজ্ঞতা নেই। তাহলে তাদের কি পদাবনতি ঘটানো হবে?


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, কোন এক পর্যায় থেকেও তো শুরু করতে হবে। যে কোন ভাল কাজে বাধা থাকবে; কিন্তু শুরু করা জরুরি বলেই সরকার মনে করছে।


২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সিভিল সার্ভিস আ্য্যক্ট প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিছু সভা-সেমিনার, বিদেশ ভ্রমণ করানো হয় কর্মকর্তাদের। একটি খসড়াও হয়।


(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/এইচআর/এআর/ ঘ.)