খালেদার সঙ্গে কর্মকর্তাদের বৈঠক: তদন্ত কমিটি হচ্ছে আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০৮ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০১:১৩:১৭

ঢাকা: গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠককারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খুঁজে বের করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটি গঠন করবে সরকার। আজ সোমবার একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, কারা সেখানে গিয়েছিলেন আমরা যাচাই-বাছাই করছি, খোঁজ নিচ্ছি। যারা শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজ করেছে বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং কি ব্যবস্থা নেয়া হবে- জানতে চাইলে ইসমাত বলেন, এ বিষয়ে আপনারা শিগগিরই জানতে পারবেন। সরকারি কর্মচারীদের রাজনীতিতে জড়ানোর সুযোগ নেই।
এর আগে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ও মালয়েশিয়া সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে গত শুক্রবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রশাসনের বর্তমান যে সব কর্মকর্তা বৈঠক করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনা নিয়ে সরকারের শীর্ষ প্রশাসনিক দফতর সচিবালয় রবিবার দিনভর আলোচনা-সমালোচনায় ছিল মুখর। ওই রাতের ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন বলে যে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে তাদের অনেকেই রবিবার নিজ দফতরে ছিলেন অনুপস্থিত। আবার কেউ কেউ চুপিসারে এসে হাজিরা দিয়ে চলে যান। তবে সরকারপন্থি বলে পরিচিত কর্মচারীদের মধ্যে ছিল সরকারের সমালোচনা। তাদের অনেকেই বলছেন, ইতিপূর্বে ২০০৬ সালে উত্তরা কেলেংকারিতে জড়িত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের অভিযোগ থেকে রেহাই দেয়ার কারণে আজ নতুন করে কর্মচারীরা সরকারবিরোধী রাজনীতিতে জড়াবার সাহস দেখাচ্ছেন। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ঊর্ধ্বে উঠে প্রকৃত দায়ীদের শাস্তি দেয়া জরুরি।
গতকাল সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ গুলশানে গমনকারী কর্মচারীদের দোষ ঢাকতে তত্পর রয়েছেন। গণমাধ্যমে নাম আসা না আসা (বিএনপিপন্থি বলে পরিচিত) কিছু কর্মচারীর সম্পৃক্ততার বিষয়ে প্রভাবশালী দু’একজন সচিব সন্দেহ প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কয়েকজন সাবেক সচিব এবং একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে বিএনপিপন্থি বলে পরিচিত কতিপয় সরকারী কর্মকর্তা বৈঠক করেন। যা বেসরকারি টেলিভিশন ও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করা হয়। যদিও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টি এখনও পর্যন্ত অস্বীকার করে চলেছেন।
(ঢাকাটাইমস/ ৮ ডিসেম্বর/ এইচএফ/ঘ.)