ঢাকা: দলের ভেতরের নানা বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে খুব শিগগিরই ঘোষণা হচ্ছে বিএনপির অন্যতম সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। চলতি মাসের শেষে দিকে এ কমিটি ঘোষণা হবে বলে বিএনপির হাইকমান্ড সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, যুবদলের নতুন কমিটিতে বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকনকে সভাপতির পদ দেয়া হবে এবং বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরবকে আবারও পুরনো পদে বহাল রাখার বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন মত দিয়েছেন।
তবে অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, যুবদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদ বাগিয়ে নিতে আরও যারা জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা হলেন- বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, সানাউল হক নিরু, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম আজাদ, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
এছাড়া কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং যুগ্ম সম্পাদক পদে যাদের নাম আলোচনায় রয়েছেন তারা হলেন, বর্তমান যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মামুন হাসান, ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি হাসান মামুন।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হিসেবে এসএম জাহাঙ্গীরের নাম আলোচনায় রয়েছে। তিনি বর্তমানে একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন। তিতুমীর কলেজের সাবেক ভিপি মো. আবু হানিফের নামও শোনা যাচ্ছে এই পদে।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে যার নাম আলোচনায় রয়েছে তিনি হলেন যুবদলের পল্লবী থানার সভাপতি মিল্টন।
যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন রফিকুল আলম মজনু, সাবেক ছাত্র নেতা এসএম জিলানী। সাধারণ পদে আলোচনায় রয়েছেন ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি গোলাম মাওলা শাহিন, লালবাগ থানার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রফিক আহমেদ ডলার, সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম রাসেল।
সূত্রমতে, যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণার জন্য বেগম খালেদা জিয়া গত সোমবার যুবদলের বর্তমান সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরবের সঙ্গে বৈঠক করেন। গুলশানের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপি ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বেগম জিয়া যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সংগঠনের নতুন কমিটি প্রসঙ্গে অবহিত করেন। এতে বেগম জিয়ার দেয়া নতুন কমিটি নিয়ে আলাল ও নীরব একমত পোষণ করেন বলেও সূত্র জানায়।
এর আগে সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনগুলোকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। তারপর পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতারা পদপদবী ও নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধিতা শুরু করে। বিরোধিতা ধীরে ধীরে ব্যপক আকার ধারণ করলে যুবদলসহ অন্যান্য অঙ্গ-সংগঠনগুলোর পুনর্গঠনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। যদিও যুবদলের নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে অচলাবস্থার নিরসন হবে বলে মনে করছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
(ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/কেএস/এমএম)