ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাঁর গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়টি ব্যবহার করছেন ২০০৮ সাল থেকে। তবে খালেদা জিয়া এ বাড়িটি ভাড়ায় ব্যবহার করছেন নাকি তাকে দান করা হয়েছে সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। এ নিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও এক রকম ধোঁয়াশা রয়েছে।
বিশালাকার এই বাড়িটির বর্তমান মালিক সাবেক এমপি এবং বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমনের বলে জানা গেছে। বাড়িটির ওপর দিয়ে বয়ে এতো ঝড় ঝাপটার পর তাকে বাড়ির আশপাশেও দেখা যায় নি।
সুমনের বাবা আবু তাহেরও বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন প্রয়াত। কুমিল্লার বরুড়া এলাকা থেকে একাধিক বার এমপিও নির্বাচিত হয়েছিলেন আবু তাহের।
গত ৩ জানুয়ারি থেকে এই বাড়িতেই খালেদা জিয়া এক রমক স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ থাকায় অনেকের মধ্যেই এই বাড়িটি নিয়ে কৌতূহল দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮ সালের পর এখন পর্যন্ত আবু তাহেরের পরিবারের কোন সদস্যকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের কার্যালয়ে দেখা যায়নি।
তবে ২০০৮ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত এ কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ক্যাবল লাইনের বিল বকেয়া নেই বলে জানান চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাড়ির মালিক এ বাড়িটি বিএনপিকে ভাড়া দিয়েছেন, না দান করেছে তা আমি বলতে পারবো না। এ বিষয়টি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের স্টাফরা বলতে পারবেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে কার্যালয়ের মালিকানা প্রসঙ্গে বলেন, বাড়ির মালিক আবু তাহেরের মৃত্যুর পর থেকে তাঁর বড় ছেলে জাকারিয়া তাহের সুমন।
তবে তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন তা বলতে পারবো না। কারণ তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। তিনি বলেন, এই কার্যালয়টি বিএনপিকে দান করা হয়েছে না ভাড়া দেয়া হয়েছে সেটাও বলতে পারবো না।
একই প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাড. আহমদ আযম খান ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই বাড়িটি আবু তাহেরের। তবে কার্যালয়টি ভাড়া না দান এই বিষয়ে আমি অবহিত নই।
আর এখন এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কোনকিছুই বলতে পারবো না। বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ স্বাভাবিক হলেই এই বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে আমি কথা বলতে পারবো।
(ঢাকাটাইমস/ ১০ ফেব্রুয়ারি/ কেএস/ এআর/ ঘ.)