logo ২৮ এপ্রিল ২০২৫
“ধলেশ্বরী” কি অপয়া?
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ২০:১৬:৩৭
image


ঢাকা: প্রায় চার মাসের বেশি সময় ধরে খালি পরে আছে রাজধানীর মন্ত্রীপাড়ায় ‘ধলেশ্বরী’ বাসভবনটি । দেখভালের জন্য দু-একজন কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া আর কেউ থাকছেন না বাসাটিতে। এই বাসাতেই থাকতেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। মন্ত্রীত্ব হারিয়েছে, হারিয়েছেন দলীয় পদ। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে করা মামলায় লতিফ আছেন এখন কারাগারে।

গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, বাসাটি বরাদ্দ নিতে কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বাসাটিতে উঠতে চেয়েছিলেন। তার সহধর্মীনি বাসাটি ঘুরেও এসেছেন। কিন্তু বাসা পছন্দ হয়নি বলে আর উঠেননি খাদ্যমন্ত্রী। পরে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজউদ্দিন প্রমাণিক ২০ নম্বর হেয়ার রোডের এই বাসটিতে উঠতে চেয়েছিলেন। পরে তিনিও আর আগ্রহ দেখাননি। যে কারণে এখনও খালি পরে আছে মন্ত্রীপাড়ার এই বাসাটি।      

বাসাটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা একজন কর্মচারী ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘অনেকে এসে দেখে গেছেন। কেউ উঠেননি। খাদ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এসেছিলেন। তার নাকি পছন্দ হয়নি। পরে আর কেউ আসেনি।’

গত সেপ্টেম্বরে লতিফ সিদ্দিকী সপরিবারেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদানের বিশাল বহরের সঙ্গী ছিলেন। নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ, মহানবী (সা.) ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর অবমাননাকর মন্তব্যের পর দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে মন্ত্রিসভা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়। বহিষ্কার করা হয় আওয়ামী লীগ থেকেও। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ১৮টি জেলায় ২২টি মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। পরে তিনি দেশে ফিরে ২৫ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন লতিফ সিদ্দিকী। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সেই থেকে কারাগারেই আছেন তিনি।  

(ঢাকাটাইমস/ ১৬ ফেব্রুয়ারি/ এইচএফ/ঘ.)