logo ২৮ এপ্রিল ২০২৫
কোথায় মরিচ, কোথায় ওয়াহিদুল আলম!
ইব্রাহিম খলিল, ঢাকাটাইমস
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ১১:৩১:২৮
image


চট্টগ্রাম: সন্তুষ্টি লাভের আশায় মানুষ মানুষকে কত কিছুই না উপহার দেয়। আর সেই উপহারের উপকরণ যদি হয় ঝাল মরিচ, তাতে তো চোখ কপালে উঠারই কথা। চোখ কপালে তোলা সেই উপহারটি বছরের পর বছর ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দিয়ে আসছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বিএনপির সাবেক সাংসদ ও সাবেক হুইপ ওয়াহিদুল আলম।

হাটহাজারীর এই মরিচটি অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় খুশি মনে উপহারটি গ্রহণ করেন বিএনপির চেয়ারপাসন। তবে নিজেদের ডাকা হরতাল-অবরোধের কারণে মরিচ নিয়ে চেয়ারপারসনের কাছে যেতে পারছেন না বলে জানান ওয়াহিদুল আলম।

ওয়াহিদুল আলম জানান, ‘ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকারের প্রতিহিংসা ও দমন-পীড়নের কারণে কারও সঙ্গে বসে একটু যে কথা বলব তারও কোনো সুযোগ নেই। পুলিশের হামলা আর মামলার ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে হচ্ছে। আর এসব বিষয়ে বসে কথা না বললে মজা পাওয়া যায় না।’

তিনি জানান, ‘গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে এই মরিচ উপহার দিয়ে আসছি। খালেদা জিয়াও এই মরিচ খেতে বেশি পছন্দ করেন। ফলে ম্যাডামের জন্য আমি কাঁচা ও পাকা মরিচ নিয়ে যেতাম। ওই মরিচ দিয়েই ম্যাডামের পরিবারে রান্নার চাহিদা মিটতো।’

এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াহিদুল আলম জানান, ‘চট্টগ্রামের বাজারে হাটহাজারীর মরিচের চাহিদা ব্যাপক। মরিচটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও ঝাল হওয়ায় গত ২০ বছর আগে কৌতূহলবশত মরিচ নিয়ে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার কাছে যাই। সেই মরিচ খেয়ে তিনি অনেক প্রশংসা করেন। মরিচের গুণ ও স্বাদ নিয়ে প্রশংসা করায় প্রতিবারই ম্যাডামের কাছে যাওয়ার সময় মরিচ নিয়ে যেতাম। পরে ম্যাডাম নিজেই এই মরিচ নিয়মিত দেওয়ার কথা বলেন। সেই থেকে অদ্যাবধি মরিচ দিয়ে আসছি।’

তিনি বলেন,‘গত ৫ জানুয়ারি এই অবৈধ সরকারের বর্ষপূর্তির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে চলমান রাজনৈতিক আন্দোলন ও হরতাল অবরোধ এবং পুলিশের মামলা-হামলার ভয়ে বিএনপি নেতাদের আত্মগোপনে থাকতে হচ্ছে। ফলে মরিচ নিয়ে ম্যাডামের কাছে যাওয়ার কোনো সুযোগ পাচ্ছি না।’

ওয়াহিদুল বলেন, ‘৫ জানুয়ারি থেকে ম্যাডাম খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ। শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার ও মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানির কারণে দলীয় যোগাযোগ প্রায় বন্ধ। এ অবস্থায় মরিচ নিয়ে যাওয়া কি সম্ভব বলুন।’

দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, ওয়াহিদুল আলম এমপি ১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা থেকে বিএনপির সাংসদ নির্বাচিত হন। মরিচ উপঢৌকন দিয়েই খালেদা জিয়ার নজরে আসেন তিনি। এরপর বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে ১৯৯১ সালে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন।

২০০১ সালের নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি হুইপ মনোনীত হন। বর্তমান ২০ দলীয় জোটের রাজনৈতিক আন্দোলন কর্মসূচিতে নগরীর প্রথম সারির নেতাদের সরব দেখা গেলেও তাকে খুব একটা দেখা যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/আইকে/এমআর/এআর/ঘ.)