গণমাধ্যমের বিপদ হলুদ সাংবাদিকতা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১২ এপ্রিল, ২০১৫ ১৯:৩৮:১২

ঢাকা: হলুদ সাংবাদিকতা, মিথ্যাচার ও বিকৃত তথ্য প্রকাশকে গণমাধ্যমের বিপদ বলে আখ্যায়িত করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
রবিবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন (বনপা’র) উদ্যোগে বাংলাদেশের উন্নয়নে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
ঔপনিবেশিক ও সামরিক শাসনকালে অপরাধীদের আইনের উর্ধ্বে রাখার অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমান সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মীরা যদি আইনের উর্ধ্বে না হয়, গণমাধ্যমকর্মীরাও আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ও গণমাধ্যমের অধিকার রক্ষার্থে সব অপরাধীকে আইনের খোঁয়াড়ে আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। দুষ্কর্ম করলে অবশ্যই আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আগুন সন্ত্রাসের নেত্রী বেগম জিয়াকেও আইনের সম্মুখীন হতে হবে। কোনো মানুষ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
‘তথ্য কোন পণ্য নয়, তথ্যের সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে। দায়বদ্ধতা মেনে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। নারী, শিশু, দেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ধর্ম, ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি দায়বদ্ধতা সাংবাদিকতার পবিত্র দায়িত্ব’ বলেন মন্ত্রী।
অনলাইন সংবাদ পোর্টালগুলোর ওপর সরকারের সমর্থন রয়েছে জানিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমরা চাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অনলাইন পোর্টালগুলো জীবন্ত থাকুক।’
অনলাইন নীতিমালা বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞদের সাথে বসে যথাযথ পদক্ষেপ ও অনলাইন গণমাধ্যমকর্মীদের স্বীকৃতির জন্য দ্রুত নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও সভায় জানান তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মোস্তফা জব্বার এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস এম মাহবুবুল আলম এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা তছির আহম্মদ বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন। বনপা’র সভাপতি শামসুল আলম স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সারাদেশের প্রায় ৩০টি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক-প্রকাশক উপস্থিত ছিলেন।
গণমাধ্যমকে গণতন্ত্রের অতন্ত্র প্রহরী আখ্যা দিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা ভুল করলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে। সুতরাং গণমাধ্যম কর্মীদেরকে দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য কাজ করতে হবে, মানুষের পক্ষে কাজ করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী এসময় যুদ্ধাপরাধী কামরুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের ক্ষেত্রে ‘জল্লাদের’ দায়িত্বপালনকারীর নাম ও ফাঁসির খুঁটিনাটি প্রকাশের যৌক্তিকতা কতটুকু সে বিষয়ে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
শুরু থেকেই অনলাইন সংবাদপোর্টালগুলো ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তথ্য-খবর, ছবি, ভিডিওসহ সবকিছু একত্রে দেখার জন্য অনলাইন পোর্টালগুলোর বিকল্প নেই।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিরপেক্ষ নই, আমি অবাধ মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, সাম্য, অবাধ তথ্যপ্রবাহের পক্ষের লোক।’
মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িকতা ও আগুন বোমা থেকে যেমন দূরে থাকতে হবে, তেমনি অনলাইন সংবাদকর্মীদের হলুদ সাংবাদিকতা থেকে দূরে থাকতে হবে। সর্ব্চ্চো দায়বদ্ধতা থেকে সংবাদ প্রকাশ করতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/জেবি)