ঢাকা: কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের পরের দিনই জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
এর আগে তিনি নারায়ণগঞ্জ কারাগারে ছিলেন। একটি মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্য তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
সহযোদ্ধার ফাঁসি কার্যকরের সব খবর নারায়ণগঞ্জ করাগারে বসেই পান তিনি।
কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের খবর তাঁর কানে যাওয়ার পর পরই রীতিমতো ভেঙ্গে পড়েন। নিজের সেলে বসে তিনি অঝোর ধারায় কাঁদতে থাকেন। কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের দিন এবং পরের দিন তিনি রোজা পালন করেন।
অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে কথা বলা কমিয়ে দিয়েছেন। খাওয়া-দাওয়ায়ও অনীহা দেখা দিয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির দ- পাওয়া মুজাহিদের মামলাটি এখন হাইকোর্টে আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায়।
অ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, আগামী জুন মাসের মধ্যে মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর মামলায় আপিল নিষ্পত্তি হবে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হয়। যেদিন ফাঁসি কার্যকর হয় সেদিন রোজা রেখেছিলেন মুজাহিদ। পরের দিন রবিবারও রোজা পালন করেন তিনি। কামারুজ্জামানের ফাঁসি খবর পেয়ে কনডেম সেলে বসে অঝরে কাঁদেন তিনি। কামারুজ্জামানের ফাঁসির দিন শনিবার ফজরের আযানের আগেই ঘুম থেকে ওঠেন এবং সেহেরী খেয়ে রোযা রাখেন। পরের দিনও রোজা রাখা অবস্থায় সকালে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার ফোরকান আলী বলেন, মুজাহিদ এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। তার ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানি না।
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করার রায় ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। মুজাহিদের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি ঘটনায় মুজাহিদের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল/এএ/ এআর/ ঘ.)