ফরিদপুর: জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলা ডাকবাংলোর নতুন দোতলা ভবন নির্মাণে চলছে ব্যাপক অনিয়ম। নি¤œমানের কাজের প্রমাণ পাওয়ার পর একবার কাজ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। শর্তানুযায়ী ফের কাজ শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তবে এবারো নি¤œমানের উপকরণ ব্যবহার করে কাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
প্রথমে অনিমের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে নির্মাণাধীন বাংলোটি পরিদর্শন করেন। নি¤œমানের কাজের প্রমাণ পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রথম তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঠিকাদার নিয়ম অনুযায়ী কাজের মান ভালো করবে মর্মে পুনরায় কাজ শুরু করেন। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খান এন্টার প্রাইজ বিল্ডিংয়ের সিডিউল না মেনে আবারো নি¤œমানের ইট, বালু, পাথর ও রড দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি বিল্ডিংয়ের দোতলা ছাদ ঢালাইয়ের সময় জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার মো. ফজলুর রহমানের থাকার কথা থাকলেও সরেজমিনে কোন ইঞ্জিনিয়ারকে দেখা যায়নি। ফলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা নি¤œমানের মালামাল দিয়ে সন্ধ্যার পরে কাজ করছিলো। সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ার ব্যাস্ত হয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের সাংবাদিকদের বলেন, নি¤œমানের কাজের খবর পেয়ে লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয় ঠিকাদার খান এন্টার প্রাইজের মালিক মো. বাসার জানান, ১ কোটি ১২ লাখ টাকার কাজ বছরের ১৭ শতাংশ কমিশনে নিয়েছি। এই কাজে আমার লোকসান হবে। আপনারা যদি নিউজ করে কাজটি বন্ধ করে দেন, তাহলে আমার ভাল হয়।
এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার মো. ফজলুর রহমান মুঠোফোনে জানান, আমি ছাদ ঢালাইয়ের শুরুতে উপস্থিত ছিলাম, পরে অন্য কাজে সাইডে চলে যাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা সাংবাদিকদের জানান, রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে কাজে মান আর কত ভাল হবে আমাদের বোঝা হয়ে গেছে! মাঝে মধ্যে দেখা য়ায় ডাকবাংলোয় ঠিকাদারের টাকায় খাওয়া দাওয়ার ধুম চলে।
(ঢাকাটাইমস/২১মে/প্রতিনিধি/এমএন)