ঢাকা: নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) প্রতিষ্ঠার দুই দশক পূর্তি উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান।
সেগুনবাগিচা কার্যালয় প্রাঙ্গণে সকালে ডিআরইউর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনসহ বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা এবং সদস্যরা দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন। পরে সংগঠনের সাগর-রুনি মিলনায়তনে দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে নেতারা ২০ পাউন্ড ওজনের একটি কেক কাটেন।
এরপর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনের পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, সংগঠনের সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, সাবেক সহ-সভাপতি কুদরাত-ই-খোদা, মুফদি আহমেদ ও বর্তমান সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম ও বর্তমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফেরদাউস মোবারক, সাবেক অর্থ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও বর্তমান অর্থ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ ও মুরসালীন নোমানী, ও সাবেক প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক মশিউর রহমান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, রিপোর্টারদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সকল দল-মতের ঊর্ধ্বে। আজ থেকে ২০ বছর আগে নানা অবজ্ঞা, অসম্মান এবং বৈষম্য থকে মুক্ত হয়ে আধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ডিআরইউ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দলীয় মতবাদের ঊর্ধ্বে থেকেই এই সংগঠনটি ঐক্যবদ্ধভাবে এতদিন কাজ করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।
বক্তারা বলেন, দ্রোহ নিয়ে এই সংগঠনটির জন্ম হয়েছিল। আজও সংগঠনটি অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দল-মতের বাইরে থেকে কাজ করছে।
নেতৃবৃন্দ সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে যে আন্দোলন তা জোরদার করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, দল মতের ঊর্ধ্বে ওঠে আমরা সবাই এক পরিবারের হয়ে রিপোর্টারদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি সংগঠনের মৃত সদস্যের পরিবারকে অনুদান হিসেবে এক লাখ টাকার পরিবর্তে এখন থেকে দুই লাখ টাকা দেয়া, সদস্যদের গ্রুপ ইন্সুরেন্সের আনা ও মৃত সদস্যের সন্তানদের পড়াশোনার বিষয়ে সহায়তা করা ঘোষণা দেন।
আলোচনা সভার শুরুতেই প্রয়াত ৪৩ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন উপস্থিত সদস্যরা। এরপর প্রয়াত সদস্যদের পরিবারের সদস্য এবং বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালায় দ্বিতীয় পর্বে ফেমিলি নাইট সন্ধ্যা ৬টায় আমন্ত্রিত অতিথিদের শুভেচ্ছা বক্তব্য, ৭টায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নৈশভোজ।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক শফিকুল কবীরের নেতৃত্বে ১৯৯৫ সালের ২৬ মে ডিআরইউ প্রতিষ্ঠা পায়। বর্তমানে এটি সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ সংগঠন। যা এখনও দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে রিপোর্টারদের পেশাগত মানোন্নয়ন ও অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখছে।
(ঢাকাটাইমস/২৭মে/জেবি)