দুহাত বিচ্ছিন্ন তুহিনের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক বাবা
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
১৯ জুলাই, ২০১৫ ১১:২৭:৫৬

গোপালগঞ্জ: জমির বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইদের হামলায় দু’হাত ও দু’চোখ হারানো তুহিন (১৮) অবশেষে মারা গেছেন। গতরাতে হামলার পর গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসাপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় সে।
নিহত তুহিন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী ছিলো। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন তুহিনের বাবা শওকত মোল্লা। তার দু’পা কেটে ফেলা হয়েছে।তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
জেলা সদর থানার চর পাথালিয়া গ্রামে শনিবার রাত ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, শওকত মোল্লার সঙ্গে তার বড় ভাই লায়েক মোল্লার পৈতৃক জমি-জমা ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধ নিয়ে শনিবার রাতে সালিশ বসে। সালিশের এক পর্যায়ে তুহিন মোল্লাকে তার আপন চাচাতো ভাই আরিফুল, শরিফুল ও রবিউল ধরে দুই হাত কেটে ফেলে দু’চোখ উপড়ে ফেলে। এসময় তুহিনের বাবা শওকত বাঁচাতে গেলে তারও দু’পা কেটে ফেলে তারা।
গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই আব্দুল খালেক জানান, শওকত মোল্লার বাম পা কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ডান পা কোনো রকম চামড়ার সাথে জড়িয়ে রয়েছে। ছেলের দু’হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দু’চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছিলো।
প্রথমে গুরুতর আহত বাবা-ছেলেকে প্রথমে গোপালগঞ্জ আড়াইশ’শয্যা জেনারলে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। পথিমধ্যে ছেলে তুহিন মারা যায়।
এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে এসআই আব্দুল খালেক জানিয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/এমএন)