প্রেমের ফাঁদে তরুণীকে ধর্ষণের পর পতিতালয়ে বিক্রি
সাভার প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
২৪ জুলাই, ২০১৫ ১৪:৩৭:২২

সাভার: সাভারের আশুলিয়ায় গার্মেন্টকর্মী এক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর ময়মনসিংহের একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী শ্রমিককে উদ্ধার করে জড়িতদের মধ্যে দুই জনকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার নবীনগর থেকে ঘটনার সাথে জড়িত প্রতারক সেন্টু হোসেন শাকিল (২৫) ও আলমগীর (২৬) নামের দুই সহদোরকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে ময়মনসিংহের কোতয়ালী থানাধীন একটি ভাড়া বাসা হতে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
আটকেরা মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার কোটকান্দি গ্রামের মকর হোসেনের ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই নারী শ্রমিক জানান, ২/৩ মাস আগে নবীনগরের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতে এসে প্রতারক শাকিলের সাথে পরিচয় হয় তার। পরে তা প্রেমের সম্পর্কে রুপ নেয়। এক পর্যায়ে গত ১৭ই জুলাই শুক্রবার তাকে কৌশলে ঈদের বাজার করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আশুলিয়ার জিরানী বাজারে ডেকে নেয় শাকিল। পরে শাকিল, আলমগীর ও রাশেদসহ চার/পাঁচ জন তাকে একটি প্রাইভেট কারে ময়মনসিংহের কোতয়ালী থানাধীন রিমি নামে এক নারীর বাসায় নিয়ে আটকে রাখে। জোরপূর্বক ধর্ষণের পর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রিমি নামের ওই নারীর কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে রিমি তাকে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ওই দিন রাতে (১৭ই জুলাই) শিউলী আক্তার নিখোঁজ বোনের সন্ধানে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তার দেয়া তথ্যমতে প্রতারক শাকিল ও ওই নারী শ্রমিকের প্রেম প্রণয়ের একটি চিরকুটের সন্ধান পায় পুলিশ। সেই চিরকুটের সূত্র ধরে প্রথমে আশুলিয়ার নবীনগর থেকে প্রতারক শাকিল ও আলমগীর নামের দুই সহদোরকে আটক করা হয়। পরে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই নারী শ্রমিককে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
তিনি আরো জানান, এঘটনায় উদ্ধারকৃত ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/প্রতিনিধি/এমএন)