logo ২২ এপ্রিল ২০২৫
অপহরণের দেড় মাস পর শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৫:১২:২৫
image



ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে অপহরণের দেড় মাস পর পাঁচ বছরের শিশু মোবারক হোসেনকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আবদুল জব্বার ওরফে ঠান্ডু ওরফে বাবলু ও তার স্ত্রী নাজমা আক্তার।






আজ সোমবার দুপুর সোয়া একটার সময় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক ডিআইজি ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম।






মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর রিকশা ভ্যানে ফল বিক্রেতা ফারুকের পাঁচ বছরের শিশু উত্তরা নয় নম্বর সেক্টরের ছয় নম্বর রোডের বাসার সামনে খেলার সময় অপহৃত হয়। অপহরণের দুইদিন পরে ফারুকের বাসার পাশের এক দর্জি দোকানে ফোন করে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা জানায়, মোবারক অপহরণ হয়েছে, একটি মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে। অপহৃত মোবারকের বাবা ফারুক ওই নম্বরে ফোন করলে তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং এই ঘটনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জানালে মোবারকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় আবদুল জব্বার।






ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আরও জানান, দরকষাকষির এক পর্যায়ে স্থানীয় ফল বিক্রেতাদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে দুইটি নম্বরে ১৭ হাজার ৭৭০ টাকা দেয় ফারুক এবং তিনি এই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। অপরহরণের ৪০ দিন পরে শিশুটি জীবিত উদ্ধারের আশা ছেড়ে দিয়ে একটি মামলা করেন শিশুটির বাবা ফারুক। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম টিম আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আবদুল জব্বার ওরফে ঠান্ডুকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার দেয়া তথ্যমতে গাজীপুরের মাওনা থেকে তার স্ত্রী নাজমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।






মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আবদুল জব্বার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছে, ২০০৪ সালে তার প্রকৃত নাম-ঠিকানা গোপন করে বাবুল ইসলাম নাম ব্যবহার করে গাইবান্ধা জেলার সাঘাট থানার চর এলাকায় সেলিনাকে বিয়ে করে। ২০০৭ মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার বাওট গ্রামের স্বপ্নাকে বিয়ে করে এবং ২০১৩ সালে মাওনায় নাজমা আক্তারকে বিয়ে করে। গ্রেপ্তারকৃত বাবলু বিভিন্ন সময়ে শিশুদেরকে অপহরণ করে তার স্ত্রীদের কাছে রাখত এবং গ্রেপ্তারকৃত নাজমা অপহৃত শিশু মোবারককে বিভিন্ন সময়ে মারধর করত, খেতে দিত না ও মোবাইলে তার কান্নার শব্দ শুনিয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে মুক্তিপণের টাকা চাইত।






সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ, পূর্ব বিভাগের উপ-কমিশনার মাহবুব আলম, গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মো. মারুফ হোসেন সরদার ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার।






 (ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/এএ/জেবি)