ঢাকা: বিভিন্ন নামে ফেসবুক আইডি, ইমো, হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলতো ভূয়া প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস চক্রের সদস্যরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরিরজম অ্যান্ড ট্যান্সন্যাশনাল ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সাত রাস্তা মোড়ে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের প্রধান গেটের সামনে থেকে ভূয়া প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস চক্রের ৯ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা পুলিশ।
এরা হলেন- মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে জুয়েল, মো. রুবেল বেপারী, মো. আবদুস সাত্তার, মো. মেজবাহ আহম্মেদ, মো. কাওছার হোসেন, মো. আল আমীন, মো. ইকরাম হোসাইন, মো. হৃদয় হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০১৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার রসায়ন (দ্বিতীয় পত্র), হিসাববিজ্ঞান (প্রথম পত্র), পদার্থ বিজ্ঞান (সৃজনশীল), জীববিজ্ঞান (দ্বিতীয় পত্র) ইত্যাদি পরীক্ষার ভূয়া প্রশ্নপত্র এবং ১০টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম ওরফে জুয়েল তাদের সহযোগী পলাতক আসামি আলমগীর হোসেন চক্রটির নেতৃত্ব দেয়। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপ্রত্র অনলাইনে পোস্ট করে এবং তার বিনিময়ে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনসহ রাষ্ট্রের ভাবমূর্র্তি ক্ষুণœ করছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা বিভিন্ন নামে ফেসবুক আইডি, ইমো, হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ পড়–য়া ছাত্র,ছাত্রীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রশ্নপ্রত্র দেয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় বলেও জানান মনিরুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ১৯৮০ সনের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ৪/১৩ এবং তৎসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এর ৫৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৯জুন/এএ/জেডএ)