logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
হুমকি ছিল আগেই
চট্টগ্রামে এসপির স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা
চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
০৫ জুন, ২০১৬ ০৮:৫২:২২
image



চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে জঙ্গিদের ত্রাস হিসাবে পরিচিত এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তারকে নিজ বাসার সামনে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।






রবিবার সকাল সাতটার দিকে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে তিনি হত্যকাণ্ডের শিকার হন।






পুলিশ ধারণা করছে, এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে জঙ্গিবিরোধী বিভিন্ন অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন।পুলিশ জানিয়েছে, নগরীর জিইসি মোড়ের কাছে ও আর নিজাম রোডে মোটরসাইকেল আরোহী হামলাকারীরা মাহমুদার মাথায় গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।






মোটরসাইকেলে আসা হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল তিনজন; তাদের একজনের মাথায় হেলমেট ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ জানিয়ছেন।নিহত মাহমুদা খাতুন ওরফে ‍মিতু আক্তার (৩২) এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জননী।মাহমুদার মাথায় যখন গুলি করা হয়, তার ছেলে তখন পাশেই ছিল।






মা হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছয় বছর বয়সী ছেলেটি সাংবাদিকদের বলেছে, মোটরসাইকেলে যারা এসেছিল, তারা প্রথমে তাকে একপাশে সরিয়ে নিয়ে যায়। এরপর একজন তার মায়ের পেটে ছুরি মারে এবং পরে গুলি করে। 






অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ছেলেকে স্কুলের বাসে তুলে দেয়ার জন্য জিইসি মোড়ের ওয়েল ফুডের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন মিতু আক্তার। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা তিন ঘাতক তার গায়ে মোটরসাইকেল উঠিয়ে দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর দুর্বৃত্তরা প্রথমে তাকে ছুরিকাঘাত করে এবং পরে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।






বাবুল ও মিতু আক্তার দম্পতির ছেলে মাহির আক্তার নগরীর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছোটো মেয়ে তাবাসসুম এখনও স্কুলে যাওয়া শুরু করেনি। তাদের বাসা জিইসি মোড় সংলগ্ন ও আর নিজাম রোডে।






পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, জঙ্গি দমনে ভূমিকা রাখার কারণে কোনো জঙ্গি সংগঠন এ ঘটনা ঘটিয়েছে কি না আমরা তা খতিয়ে দেখছি।






গত এপ্রিলের শুরুতে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর গত বুধবার তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছাড়েন।তিনি ঢাকা পুলিশ সদরদপ্তরে কাজ করছিলেন।স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ সকালে তিনি চট্টগ্রাম ছুটে যান।






জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের কারণে বাবুল আক্তার ও তার পরিবার হুমকি পেয়ে আসছিলেন বলে চট্টগ্রামের পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।






শারমীন আক্তার  নামের এক প্রতিবেশী জানান, মাহমুদা প্রায়ই নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলতেন। বলতেন, ওই বাসা সবাই চিনে গেছে, বাসা বদলে ফেলতে হবে।






(ঢাকাটাইমস/৫জুন/জেএস/জেডএ/এআর/ ঘ.)