নদী ড্রেজিংয়ের মাটি বাঁধে ব্যবহারের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৫ জুন, ২০১৬ ১৭:৩৬:২৭

ঢাকা: বাঁধ দেয়ার কাজে পাশের কৃষিজমি থেকে মাটি না নিয়ে নদী ড্রেজিং করে মাটি ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৬ মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি সম্প্রতি সব মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেয়া হয়েছে।
গত ৩১ মে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুশাসন দেন বলে বলে চিঠিতে বলা হয়। এ ছাড়া চিঠিতে আরও পাঁচটি নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণের সময় বাধেঁর নিচে নদীসংলগ্ন অংশে সবুজ বেষ্টনী নির্মাণের নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, এতে জলোচ্ছ্বাসের পানি আটকাবে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়- উভয় মন্ত্রণালয় এ ধরনের প্রকল্প নিতে পারে।
চিঠিতে নির্দেশনা দেয়া হয়, তিস্তা নদী খননসহ দেশের সব নদী অন্তত একবার ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে নদীর নাব্যতা বাড়বে এবং শুল্ক মৌসুমে নদীর পানি ধরে রাখতে পারবে। ঢাকার খালগুলো থেকে বক্স কালভার্ট তুলে দিয়ে খালগুলো রক্ষা করতে হবে।
নদীতে বাঁধ দেয়ার ক্ষেত্রে নদী ড্রেজিং করে সেই মাটি দিয়ে বাঁধ দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, পার্শ্ববর্তী কৃষিজমি থেকে মাটি নেয়া যাবে না। দক্ষিণাঞ্চলের সাইক্লোন শেলটারের সঙ্গে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
চিঠিতে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শীতকালে শেষ করার নির্দেশা দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হলে নতুন করে ভিন্ন প্রকল্প নেয়া যেতে পারে বলে মত দিয়ে বলা হয়, যেসব প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে তার মেয়াদ বাড়ানো যাবে না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিযর সচিব ড. জাফর আহমদে খান ঢাকাটাইমসকে জানান, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর সব জেলা-উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দিয়েছি। তাদের বলা হয়েছে, কেউ নদী খননকাজে বা বাঁধ দেয়ার সময় পতিত জমির মাটি নিতে পারবে না।”
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায় ঢাকাটাইমসকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি আসার পরে আমাদের সব নদীখনন প্রকল্পের পরিচালকদের চিঠি দেয়া হয়েছে। ড্রেজিংযের মাটি বাঁধে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে তাদের।”
(ঢাকাটাইমস/২৫জুন/এইচআর/মোআ)