ঢাকা: দৈনিক আমাদের সময়ের প্রকাশনা নিয়ে আপিল করার অনুমতি পেয়েছেন নাঈমুল ইসলাম খান। নাঈমুল ইসলামের করা আবেদন গ্রহণ করে তাকে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে মালিকানা যে অবস্থায় রয়েছে সেই অবস্থায় থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিয়ার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি ঈমান আলী ও বিচারপতি নিজামুল হক।

আমাদের সময়ের বর্তমান প্রকাশক সৈয়দ মোহাইমেন বক্স কল্লোলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রফিকুল হক, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন চাকলাদার ও ব্যারিস্টার এহসানুল করিম। নাঈমুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী টিএইচ খান ও ব্যারিস্টার আকতার ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

নাঈমুল ইসলাম খানের আইনজীবী ব্যারিস্টার আকতার ইমাম বলেন, আমরা আপিলের অনুমতি পেয়েছি। এখন নিয়মিত আপিল করব।   

আমাদের সময়ের বর্তমান মালিক ইউনিক গ্রুপ। পত্রিকাটির সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার। প্রকাশক সৈয়দ মোহাইমেন বক্স কল্লোল।

আদালত সূত্র জানায়, আমাদের সময়ের প্রকাশ নিয়ে নাঈমুল ইসলামের করা রিটের রুল নিষ্পত্তি করে  ২০১২ সালে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সৈয়দ মোহাইমেন বক্স কল্লোলকে আমাদের সময় পত্রিকার প্রকাশক হিসেবে রায় দেন আদালত।  এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের সিভিল পিটিশন (সিপি) করেন নাঈমুল ইসলাম খান। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দিল আদালত।

২০১২ সালের ৮ আগস্ট দেয়া রায়ে নাঈমুল ইসলাম খানের রিট আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। প্রকাশক হিসেবে সৈয়দ মোহাইমেন বক্স কল্লোলের এ পত্রিকা প্রকাশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেন। রায়ে আমাদের সময়ের প্রকাশনা নিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশই  'সঠিক' ছিল বলে উল্লেখ করা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (জেলা প্রশাসক) দেয়া এক আদেশ অনুযায়ী এসএম কল্লোল আমাদের সময়ের প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব নেন। ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নাঈমুল ইসলাম খান একটি রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি তা স্থগিত করে দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্ট নাঈমুল ইসলাম খানকে বাদ দিয়ে কল্লোলকে আমাদের সময়ের প্রকাশক করার আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। আদালতের ওই আদেশের পর ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি আবারও নাঈমুল ইসলাম খানের প্রকাশনায় আমাদের সময় প্রকাশিত হতে থাকে।

(ঢাকাটাইমস/০২আগস্ট/এমএবি/জেডএ)