ফুলবাড়ীতে নিহতদের স্মরণে নির্মিত ‘শহীদ বেদী’ ভাঙচুর
ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
২৬ আগস্ট, ২০১৬ ১৫:০৩:৫৩

এক দশক আগে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ফেডারেশনের করা ‘শহীদ বেদী’ ভেঙে দেয়া হয়েছে। তবে কারা এটা ভেঙেছে সেটা জানাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
২০০৬ সালে বহুজাতিক কোম্পানি এশিয়া এনার্জিকে বড়পুকুড়িয়া খনি থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ দেয় জোট সরকার। এর বিরুদ্ধে স্থানীয়রা আন্দোলন গড়ে তোলে।আর ওই বছরের ২৬ আগস্ট এর ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট সমাবেশে গুলি করে তিনজনকে হত্যা ও শতাধিক মানুষকে আহত করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
এই আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের সামনে ‘শহীদ বেদী’ স্থাপন করে ছাত্র ফেডারেশনের কর্মীরা। ভোরে এই বেদী ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান ফেডারেশন নেতা-কর্মীরা। ভোরে সেখানেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ছাত্র ফেডারেশন, গণসংহতি আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, শ্রমজীবী সমিতি, তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
‘শহীদ বেদী’ ভাঙার প্রতিবাদে বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্র ফেডারেশন । নেতারা বলেন, ‘যারা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে, যারা ফুলবাড়ী আন্দোলনের বিপক্ষে তাদের দ্বারাই এমনটা হতে পারে। গতকাল ঝড়ের রাতে সাধারণ কারও পক্ষে এখানে বেদী ভাঙার প্রশ্নই আসে না ‘
ফেডারেশনের নেতারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় খান সেনা আর রাজাকাররা শহীদ মিনার আর স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙতো আর এখন নব্য রাজাকাররা শহীদ বেদী ভাঙছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্র ফেডারেশনের সহ সাধারণ সম্পাদক উৎসব মোসাদ্দেক, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক কাকন বিশ্বাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীরসহ নেতাকর্মীরা।
(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/দোহা/ডব্লিউবি)