logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
২১ তরুণের উদ্যোগে রাউজানে প্রথম ডিজিটাল স্কুল
এস.এম. ইউসুফ উদ্দিন, ঢাকাটাইমস
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:১২:০১
image




রাউজানে নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ গেইটের বিপরীত পাশেই আধুনিক শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে সম্পূর্ণ অটোমেশন পদ্ধতিতে চালু হচ্ছে ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া আইডিয়াল স্কুল। একুশজন মেধাবী তরুণ উদ্যোক্তার নিরলস চেষ্টার ফসল এটি। যারা নিজেদের আত্মকর্মসংস্থান হিসেবে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন। এরই অংশ হিসেবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এখানে শিশুরা পাবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্লাস থেকে শুরু করে আনুসাঙ্গিক সবকিছু। বিদ্যালয়ে আসা ও বের (ছুটি) হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকরা পাবেন মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে ক্ষুদে বার্তা। এছাড়াও এটি শুরু থেকেই নিজস্ব ওয়েবসাইট ও প্রতিটি ক্লাসে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নেয়া হবে। এমন নানান কিছু অভিভাবকদের দারুণ সারা দিয়েছে।



এই প্রসঙ্গে পরিচালনা পরিষদের সদস্য মো. আয়ুব খাঁন সাংবাদিকদের জানান, দুর্দান্ত গতিতে চলছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ, শিক্ষা ক্ষেত্রে শুরু হয়েছে ডিজিটাল বিপ্লব, তাই একটি আধুনিক মানের, সুন্দর, সৃজনশীল, মনোরম পরিবেশ ও সর্বাধুনিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প খরচে পড়ালেখা ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। এছাড়া প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির (যেমন নোট, গাইড, প্রাইভেট প্রভৃতি) নিয়ম ভেঙে শ্রেণিকক্ষেই প্রকৃত শিক্ষাদান ও সৃজনশীল পদ্ধতির সঠিক অনুশীলন এবং প্রয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাউজানে আমরা প্রথম চালু  করছি একটি ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।



তিনি আরও বলেন এটি এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা আনন্দপূর্ণ পরিবেশে লেখাপড়া করবে। তারা গড়ে উঠবে যোগ্য,  দক্ষ ও আদর্শ মানুষ হিসেবে।  



এ প্রসঙ্গে পরিচালনা পরিষদের আরেক সদস্য ফজল করিম বলেন, রাউজানে  একমাত্র আমরাই প্রথম ওয়েবসাইটের সঙ্গে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির সংযোগ ঘটাতে পেরেছি। ফলে শ্রেণিকক্ষে হাজিরা ডাকতে হবে না। ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে প্রবেশের সময় মেশিনে টাচ্ করে ক্লাশে ঢুকে যাবে। মেশিন থেকে তাদের উপস্থিতির তথ্য চলে যাবে ওয়েবসাইটে।



তাদের অভিভাবকের মোবাইলে স্বয়ংক্রিয় এসএমএস নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষকগণ ঝামেলাহীনভাবে পরীক্ষার ফলাফল দিতে পারবেন। ওয়েব সাইটে এন্ট্রি দেবেন নাম্বার, আর ফলাফল চলে আসবে গ্রেডিং সিস্টেমে। এছাড়াও সারা বছরের পরীক্ষাগুলোর নাম্বার বিশ্লেষণ করে অটোমেটিক পরবর্তী শ্রেণির রোল নাম্বার বা মেরিটলিস্ট চলে আসবে। শিক্ষার্থীর টিউশন ফি গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকের মোবাইলে চলে যাবে এসএমএস নটিফিকেশন। রয়েছে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা প্রযুক্তি। অভিভাবকগণ পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় বসে সন্তানের প্রাতিষ্ঠানিক খোঁজখবর নিতে পারবেন।



পরিচালনা পরিষদের সদস্য প্রকৌশলী ইলিয়াছ আজগর বলেন, আমাদের স্কুলের প্রতিটি শ্রেণিতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ বা প্রজেক্টর দ্বারা স্টুডেন্টদের পড়ানো হয়। আর ইন্টারনেট থেকে ছবি, ভিডিও, ও তথ্য নিয়ে এখানকার শিক্ষকরা ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রতিটি ক্লাস পরিচালনা করবেন। সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের জন্য রয়েছে আমেরিকান টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রশিক্ষক স্যার জোনাথন হেল্ড কর্তৃক প্রশিক্ষিত টিচার্স  ট্রেনার। তাদের নিরলস শ্রম,  মেধা ও গবেষণায় আমরা পেয়েছি "ডাবল এইট ফর্মুলা" এর মত বিশ্বমানের শিক্ষা পদ্ধতি। এর ফলে কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে হয় না।



(ঢাকাটাইমস/৮সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)