সিলেটের পলাতক শিল্পপতি রাগীব আলীর মালামাল ক্রোক ও পলাতকদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুপুরে সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরু এই আদেশ দেন।
এছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারকপত্র জালিয়াতি করে তারাপুর চা বাগান দখলের মামলার চার্জশিটভুক্ত দ্বিতীয় আসামি ও তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্তকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন বিচারক।
তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাতের আলোচিত দুটি মামলায় পুত্র -কন্যাসহ পলাতক রয়েছেন রাগীব আলী।
গত ১০ আগস্ট রাগীব আলী, তাঁর পুত্র, কন্যা, জামাতা সহ ছয় জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আগে থেকেই পলাতক আছেন পরিবারের সবাই। ওই দিন তারা জকিগজ্ঞ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান বলে তথ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।
১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে প্রায় ৪২৩ একরের তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি রাগীব আলী দখল করে নেন বলে অভিযোগ আছে। সেখানে পরে তিনি নিজের নামে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করেন। আর ৩৩৭টি প্লট তৈরি করে জমিও বেচে দেন। এসব প্লটে গড়ে উঠেছে বহুতল আবাসিক ভবন ও বিপণীবিতান।
গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি দখল করা জমিও ফিরিয়ে দিতে বলা হয়।
উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে গত ১৫ মে তারাপুর চা বাগানের জমি এবং ৩১ আগস্ট দেবোত্তর সম্পত্তিতে গড়ে উঠা ৭১৫টি অবৈধ স্থাপনা সেবায়েতের কাছে বুঝিয়ে দেয় প্রশাসন।
ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/ডব্লিউবি