রাজধানীর ডেমরার হাজী মোয়াজ্জেম আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক (বরখাস্তকৃত) আব্দুস সালাম মুন্সির দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।

ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আলী মাসুদ শেখ সোমবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে রায়ে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড এবং জামিনে থাকা এ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অন্যদিকে রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি বিদ্যালয়টির অফিস সহকারী মফিজুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

২০১০ সালের ১ জানুয়ারি হতে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসের স্কুলের হিসাব অডিট করে নয় লাখ ১৫ হাজার ১০১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিদ্যালয়টির সিনিয়র শিক্ষক মোনজেল মোরশেদ ২০১১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বলা হয়, বিদ্যালয়টির প্রভাতী ও দিবা শাখায় সে সময় প্রায় দুই হাজার ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত ছিল। বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারায় ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষে সরকারের উপ-সচিব মো. আমীর হোসেন আয় ব্যয় অডিট করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।  মাত্র নয় মাসের অডিটে, ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন ও পরীক্ষার ফি বাবদ আয় হয় ৩২ লাখ ৭৬ হাজার ৬ টাকা। কিন্তু ব্যাংকে জমা হয় ২২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫ টাকা। এ সময় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে ব্যয় দেখানো হয় এক লাখ ১৬ হাজার ৮৪০ টাকা। বাকি নয় লাখ ১৫ হাজার ১০১ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আসামি আব্দুস সালাম মুন্সি আত্মসাত করেন।

বাদিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট শাহজাহান খান, আজাদ রহমান, প্রিয়লাল সাহা, জাহিদুর রহমান, সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন জেসি ও তাছলিমা ইয়াসমিন দিপা। সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সালাম মুন্সির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান ও খালাসপ্রাপ্ত আসামির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মবিনুল ইসলাম।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)