আইসিটি অ্যাক্টের (তথ্য-প্রযুক্তি আইন) ফলে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকতা উপকৃত হবে দাবি করেছেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করা ষড়যন্ত্র হতে পারে, কিন্তু সংবাদ হতে পারে না। আর এ কারণে জনগণ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে। ফলে সরকার আইসিটি অ্যাক্ট করতে যাচ্ছে।
বুধবার ঢাকা রিপোটাস ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে ‘তথ্য প্রযুক্তি, নিউ মিডিয়া এবং গণমাধ্যমের বিবর্তন’ শীষক সেমিনারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পলক এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে।
অসামঞ্জস্য ধারা উপধারা বাতিল করে প্রস্তাবিত আইসিটি অ্যাক্ট সংশোধন করা হবে উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘আইনের কিছু জায়গায় অসামঞ্জস্যতা আছে। আমরা সে বিষয়ে লক্ষ্য করেছি। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। আমরা বিশেষজ্ঞদের আরও পরামর্শ নিয়ে এ আইন পাস করবো।’
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘ধর্ম আমাদের এই অঞ্চলের একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এটাকে পুঁজি করে চিহ্নিত একটি গোষ্ঠী দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছিল। সে কারণেই সাময়িকভাবে দেশে ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবার বন্ধ রাখা হয়েছিল, যা অন্যান্য দেশেও হয়।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, ‘কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব আমরা অনেক আগে দেখেছি। এখন চলছে প্রযুক্তি বিপ্লব। কিন্তু সঠিক নেতৃত্বের অভাবে বাংলাদেশে এ বিপ্লব আগে ঘটানো সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে আগামী ১০ বছরে এই সেক্টরে বৈপ্লবিক পরিবর্ত আসবে।’
সাংবাদিকদের নিউজ কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্টের জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী। এ ল্যাবে ১১টি কম্পিউটার, একটি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, একটি স্ক্যানার ও একটি প্রিন্টার থাকবে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘নিউ মিডিয়া ও নিউজ মিডিয়া এক নয়, এ বিষয়টা আমাদের বুঝতে হবে। এজন্য সাংবাদিকরা যেন সাংবাদিকতার প্রাথমিক ধারণা পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করতে হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহমদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।