সম্প্রতি চীনে আঘাত হানে টাইফুন ‘মেরান্তি’। ঝড়টি ফিলিপাইন, তাইওয়ান এবং চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে আঘাত হানে। ঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন চীনের জিয়ামিন শহরের টেলিভিশন চ্যানেলের এক নারী সাংবাদিক। পেয়ে যান এক উদ্ধারকর্মীর। হালকা রোদ যে ছিল-না তা নয়। এ অবস্থায় চোখে রোদ চশমা, মাথায় ছাতা, জিন্স এবং টপ পরিধান করে অর্থাৎ বেশ পরিপাটি হয়ে ক্লান্ত উদ্ধারকর্মীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন।
সাক্ষাৎকারধর্মী রিপোর্টটি টিভিতে প্রচারও হয়। তবে সাক্ষাৎকারের ছবি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেট ও ফেসবুকে। তাতে ঐ সাংবাদিকের বেশ-ভুষার সমালোচনা করা হয়। ঐ নারী সাংবাদিকদের সমালোচনা করে একের পর এক পোস্ট ও মন্তব্য আসতে থাকে। বিষয়টি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে কর্তৃপক্ষ ঐ সাংবাদিককে বরখাস্ত করেন। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐ নারী সাংবাদিক চীনের জিয়ামিন শহরে টাইফুন মেরান্তির পর উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে এক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন। তখন তার বেশভূষা স্বেচ্ছাসেবকদের একবারে বিপরীত ছিল। ঝরের পর পরিষ্কার করার কাজ করছিলেন তারা।
অনলাইনে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ার পর ঐ নারী সাংবাদিকের পেশাদারিত্ব নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
জিয়ামেন টিভি স্টেশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের একজন সাংবাদিক প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করেছে। একটি সাক্ষাৎকার তিনি যথাযথভাবে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে সাংবাদিকের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তার নেতিবাচক প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর পড়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, টাইফুন ‘মেরান্তি’ চলতি বছরের অন্যতম একটি শক্তিশালী ঝড়। এই ঝড়ে চীনে একজন এবং তাইওয়ানে একজন নিহত হয়েছেন। ঝড়টি চীনের মূল ভূখণ্ডে আঘাত এনেছে। ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের ফুজিয়ান প্রদেশে।
ইয়ানপিং জেং নামে এক ব্যক্তি প্রথম ছবিটি অনলাইনে রিপোস্ট করেন। তিনি বিবিসিকে জানান, ছবিটি প্রথম কে তুলেছিল তা তিনি জানেন না। তবে এর জন্য শাস্তিরটা অনেক বেশি হয়ে গেছে।