সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাটাইমস ও সাপ্তাহিক এই সময়।
বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কিংবদন্তি লেখকের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ঢাকাটাইমস ও এই সময় পরিবার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাপ্তাহিক এই সময়ের সহযোগী সম্পাদক স্বকৃত নোমান, প্রধান প্রতিবেদক হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, হেড অব মার্কেটিং কাওছার সিদ্দিকী প্রমুখ।
বৃষ্টিভেজা দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সরকারের মন্ত্রী, আমলা, রাজনীতিবিদরাও বাদ জাননি। এছাড়া শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধি, ভক্ত, পাঠক সবার হাতে ছিল শ্রদ্ধার ফুল।
কর্কট রোগে মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ হকের মুত্য হয়। রাতে গুলশান ৬ নম্বর রোডে তার বাড়ি ‘মঞ্জুবাড়িতে’ শেষ গোসলের পর কফিন রাখা হয় ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে।
সেখান থেকে বুধবার সকালে লেখকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই কার্যালয়ে। সেখানে জানাজার পর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সৈয়দ হকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তারপর কফিন নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
জোহরের নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে সৈয়দ শামসুল হকের মরদেহ হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হবে কুড়িগ্রামে।
১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর এই কুড়িগ্রাম শহরের থানা পাড়ায় তার জন্ম। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে তার কবর হবে।
সৈয়দ হকের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হক এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।