শুল্ক দিয়ে সড়ক পথে ভারতীয় পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে ভারতীয় রড বোঝাই একটি ট্রেইলর ও তিনটি ট্রাকে করে ১২১ টন রড ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় পৌঁছেছে। ত্রিপুরা থেকে এসব রড দেশটির সেভেন সিস্টারখ্যাত সাতটি অঙ্গরাজ্যে পৌঁছানো হবে।
আশুগঞ্জ নৌবন্দরের পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, সকাল ৯টার দিকে ১২১ টন রড নিয়ে একটি ট্রেইলর ও তিনটি ট্রাক আশুগঞ্জ নৌবন্দর ছেড়ে যায়। পরে দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দরে কাস্টমস কার্যক্রম শেষে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় প্রবেশ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী কমিশনার কামরুল ইসলাম (ভ্যাট ও কাস্টমস্) জানান, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার নৌ-প্রটোকল চুক্তির আওতায় ভারতীয় এসব পণ্য পরিবহনে ভয়েজ পারমিশন ফি, পাইলট ফি, বার্দিং (অবস্থান) ফি, ল্যান্ডিং ফি, চ্যানেল চার্জ ও লেবার হোলিং চার্জসহ প্রতি টনে ১৯২ টাকা ২২ পয়সা হারে শুল্ক আদায় করা হবে।
আশুগঞ্জ নৌবন্দর সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকল (পিআইডব্লিউটিটি) সংশোধিত চুক্তির আওতায় চলতি বছরের ১৬ জুন থেকে নিয়মিত ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রম শুরু হয়। চুক্তির আওতায় গত ৪ সেপ্টেম্বর ভারতের কলকাতার ক্ষিদিরপুর বন্দর থেকে ‘এমভি মাস্টার সুমন-১’ নামের জাহাজটি ৬৪৮ টন রড ও ৩৩৮ টন ভারতীয় চাল নিয়ে আশুগঞ্জ নৌবন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পরে জাহাজটি ১৬ সেপ্টেম্বর আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙর করে। ভারতীয় এসব পণ্য পরিবহনে কাজ করছে দেশীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আনবিস ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড। আনবিস ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড আশুগঞ্জের স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বি.সি.সি’র মাধ্যমে ত্রিপুরায় পণ্য পরিবহন শুরু করছে।