মাঠ পর্যায়ে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির তালিকা প্রনয়ণের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ লক্ষে সংশ্লিষ্ট কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগকে শিগগিরই নির্দেশনা দেয়া হবে। তালিকা প্রনয়ণের পর এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে করের আওতায় আনার কৌশলও নির্ধারণ করা হবে। খবর বাসসের।
এ প্রসঙ্গে এনবিআরের সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি দিন দিন বেগবান হওয়ায় দেশে রাজস্ব আহরণের সম্ভাবনা বাড়ছে। তবে এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত সব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে করের আওতায় আনা যায়নি। আমাদের পর্যবেক্ষণে যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে, এখন তাদের তালিকা প্রনয়ণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
তালিকা তৈরির পর কিভাবে তাদেরকে রাজস্ব বান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা যায়, এ নিয়ে একটি কৌশলপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন আমদানি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদনকারী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে ব্যক্তি খাতেও কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অনেকে আয়করের আওতায় আসছেন না বলে অভিযোগ আছে।
রাজস্ব ফাঁকি দেয়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে করের আওতায় আনা গেলে দেশের রাজস্ব আয় কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা আনতে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে সব বাধা বা প্রতিবন্ধকতা নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসাথে মাঠ পর্যায়ে রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনাসমূহ চিহ্নিত করে, তা কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছর ৩০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি ধরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে দুই লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা।