বাংলাদেশের বিভিন্ন রকমের বুনো আলু পাওয়া যায়। মানুষের খাদ্য তালিকায় এর অল্প কয়টি স্থান পেয়েছে। এসবের প্রায়গুলোই বুনো শুকর, সজারু ইত্যাদি প্রাণীর খাবার।
তার মধ্যে গচ্চা আলু (নজ আলু),সাহেবী আলু ও গারো আলু খাবার হিসেবে সংগ্রহ এবং চাষ করা হয়। এর মধ্যে গারো আলু শুধুমাত্র টাঙ্গাইলের মুধুপুর ও ময়মনসিংহের রসুলপুর ও গারো পাহাড় অঞ্চলে আদিবাসীদের পছন্দের খাবার।
এটি বনেই জন্মায়, সাধারণত এর চাষ হয় না। অন্য দুই প্রজাতির আলু সর্বজনীনভাবে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ সবার কাছে সমাদৃত। এর মধ্যে বেমী জনপ্রিয় আলুটির নাম সাহেবী আলু। সাহেবী আলুর লতানো গাছ বড় বড় বৃক্ষ-গুল্মের শাখা-প্রশাখা জড়িয়ে পল্লবিত হয়।
লতানো গাছের কা-ে অসংখ্য গোল আলু ফলে। প্রতিটি আলু ১শ থেকে ৫শ গ্রাম পর্যন্ত ওজন হয়। গাছের মূলে মাটির নিচেও বিশাল আকারে আলু হয়। এই আলুর ওজন ৫ কেজি থেকে ১ মণ পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের বরেন্দ্র ভূমি অঞ্চল, মধুপুর রসুলপুর গড় অঞ্চল এবং চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে এটি বেশি জন্মায়। এছাড়াও সারা বাংলাদেশে এটির কম-বেশি চাষ হয়। চৈত্র-বৈশাখে সাহেবী আলুর লতা মাটি ভেদ করে গজায়। জৈষ্ঠ-আষাঢ়, শ্রাবণে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে।
ভাদ্র থেকে টানা ৪/৫ মাস ফল দেয়। সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর সবজি হিসেবে মাছ, মাংস এমনকি সবজি রান্নাতেও এটির ব্যবহার জনপ্রিয়। অন্যান্য সবজি চাষের সম্ভাবনার চাইতে এটি চাষ নিরাপদ। অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় অন্যান্য সবজির মত এটি নষ্ট হয় না।
ময়মনসিংহের ব্যতিক্রমী কিছু উৎসাহী কৃষককে পানের বরজে সাথী ফসল হিসেবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সাহেবী আলু চাষ করতে দেখা যায়। বাজারে কেজিপ্রতি ৩০ টাকার কম-বেশি বিক্রি হয় সাহেবী আলু।