জ্বালানি তেলের মূল্য প্রতি নিয়তই বেড়ে চলেছে। সেজন্য মোটরসাইকেল কেনার আগেই মাথায় আসে তেল সাশ্রয়ের বিষয়টি। একটি বাইক নিজে যেমন তেল সাশ্রয়ী হতে পারে, তেমনি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে বাইককে আরো তেল সাশ্রয়ী করে তোলা সম্ভব।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ফেইসবুক পেইজে এসব উপায় বাতলে দেয়া হয়েছে। মোটরসাইকেল চালকদের সুবিধার জন্য হুবহু এগুলো দেয়া হলো।
সঠিক গিয়ারঃ প্রয়োজনের চেয়ে নীচের গিয়ারে এবং উপরে (পাহাড়ে) উঠার সময় ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করলে জ্বালানির অপচয় হয়। যখন বাইক উপর গিয়ারের জন্য প্রস্তুত হবে তখন যত দ্রুত সম্ভব গিয়ার উপরে তুলতে হবে এবং সাধারন সময় স্বাভাবিক গিয়ারে বাইক চালাতে হবে।
শান্তভাবে চালানোঃ হঠাৎ থেমে গেলে বা আবার চলতে শুরু করলে জ্বালানি অপচয় হয়। তাই সামনের গাড়ির চেয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা উচিত, এতে যানজটের সাথে তালমিলিয়ে বাইক চালানো সম্ভব হবে।
ধীরে ধীরে গতি বাড়ানোঃ ইঞ্জিনের বেশি ঘূর্ণন মানেই বেশি পেট্রোলের ব্যবহার। তাই ধীরে ধীরে গতি বৃদ্ধি এবং ব্রেক করতে হবে। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও কমে যাবে।
স্টার্ট বন্ধ করাঃ ইঞ্জিন চালু রেখে রাস্তায় থামলে তেলের অপচয় হয়। তাই দীর্ঘ জ্যামে ও রাস্তায় কোথাও থামতে হলে অবশ্যই স্টার্ট বন্ধ করতে হবে।
গতি কমিয়ে রাখাঃ অতিরিক্ত গতি পরিহার করুন। ৭০ এর বেশি বেগে বাইক চালালে ২৫% বেশি জ্বালানি খরচ হবে।
নিয়মিত টায়ারের চাপ পরীক্ষাঃ প্রতি মাসে অন্তত একবার এবং দীর্ঘ ভ্রমণের পূর্বে টায়ারের চাপ পরীক্ষা করাতে হবে। কম চাপের টায়ার শুধুমাত্র বিপদজনক নয়, জ্বালানির ব্যবহারও বাড়িয়ে দেয়।
কম ওজনঃ একটি বাইক যত বেশি ওজন বহন করবে তত বেশি জ্বালানি ব্যবহার করবে। তাই দুই জনের বেশি যাত্রী বহন না করাই উচিত।
রক্ষণাবেক্ষণঃ নিয়মিত ও ভালোভাবে বাইকের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। কারণ ত্রুটিপূর্ণ বাইক বেশি জ্বালানি ব্যবহার করে।
গণপরিবহনঃ বেশি প্রয়োজন না হলে গণপরিবহন ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে জ্বালানির খরচ যেমন বাঁচবে তেমনি শারীরিক কষ্টও কমবে।
রাস্তা নির্ধারণ: অসমতল রাস্তা, ট্রাফিক জ্যাম পূর্ণ রাস্তা তেল খরচ বাড়িয়ে দেয়। সুযোগ থাকলে এসব দিক লক্ষ্য রেখে রাস্তা নির্ধারণ করতে হবে।
নিয়মিত টিউনিং করানো: দক্ষ মেকানিকের মাধ্যমে কার্বোরেটর, ইঞ্জিন টিউনিং করানো উচিত। ইঞ্জিনের শব্দ এবং ধোয়া লক্ষ্য করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফুয়েল লিক: তেলের ট্যাংক, তেলের পাইপসহ বিভিন্ন পয়েন্টের জয়েন্ট লিকের জন্য তেল নষ্ট হতে পারে। এইদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
নিয়মিত এয়ার ক্লিনার পরিষ্কার করা: যে সকল কারণে বেশি পরিমাণ তেল খরচ হয় তার মধ্যে অন্যতম হল এয়ার ক্লিনারে জ্যাম থাকা। তাই এয়ার ক্লিনার পরিষ্কার রাখতে হবে, বিশেষ করে যারা গ্রামে/মাটির রাস্তায় চলাচল করে।