প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ২৩:২১:০১আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ২৩:৫১:০৬
প্রেমিকাদের জন্য চিঠি লেখা যখন পেশা
ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
দিনে প্রায় গোটা দশেক প্রেমপত্র লেখেন তিনি৷ তবে এত এত প্রেমপত্র তিনি নিজের প্রেমিকার জন্য লিখেন না। লিখেন অন্যের প্রেমিকার জন্যই৷ অবাক লাগলেও প্রেমপত্র লেখাই ভারতের বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা অঙ্কিত অনুভবের পেশা৷
অনুভবের কথা জেনে বলিউডের শ্যাম বেনেগালের চলচ্চিত্র ‘ওয়েলকাম টু সজ্জনপুর’ ছবির মহাদেব-কমলার কথা মনে পড়ছে কি? স্বামীকে চিঠি লিখতে পারত না কমলা৷ বাল্যবন্ধু মহাদেবই সে চিঠি লিখে দিত৷ অন্যের চিঠি লিখে দিয়েই দু’পয়সা রোজগার করত মহাদেব৷ তবে সে তো অজ গ্রাম সজ্জনপুরের কথা৷ কিন্তু অনুভব এই প্রেমপত্র লেখাকে রীতিমতো কর্পোরেট বাণিজ্যের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন৷ তার সংস্থা ‘দ্য ইন্ডিয়ান হ্যান্ডরিটেন লেটার কোম্পানি’র কাজই হল প্রেমপত্র লেখা৷
মেইল, ফেসবুক, হোয়্যাটসঅ্যাপের যুগে হাতে লেখার অভ্যাস ফিরিয়ে এনেছেন অনুভব৷ যশবন্ত চেরিপল্লিকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুলেছেন এই সংস্থা৷ টাইপ করে পাঠানো চিঠিতে যে যান্ত্রিকতা থাকে তা ভাঙতে চেয়েছেন তারা৷ আর তাই জারি রেখেছেন হাতে লেখার অভ্যাস৷ কিন্তু পুরোটাতে একটা বাণিজ্যিক কর্পোরেট মোড়ক দিতে পেরেছেন তারা৷ চিঠি লেখার দাবি নিয়ে তাদের কাছে আসেন প্রেমিকরা৷ কেউ পুরোটা বলে দেন৷ তাদের কাজ সেটি হাতে লিখে পাঠানো৷ কেউবা আবার যা বলতে চান তা ভাষায় প্রকাশ করে উঠতে পারেন না৷ তখন কল্পনাশক্তির শরণ নিতে হয় অনুভবদের৷ অন্যের মনের কথা তারাই লিখে দেন৷ সেখানেই অবশ্য শেষ নয়৷ এবার সে চিঠি পাঠানোর দায়িত্বও নেয় সংস্থা৷ ঠিক যেভাবে জন্মদিনে ফুল বা কেক পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়, সেই কায়দাতেই পাঠিয়ে দেয়া হয় প্রেমপত্র৷ এভাবেই নিজের সংস্থাকে দিন দিনে বড় করে তুলেছেন অনুভব ও তার সঙ্গী৷ প্রেমপত্র লিখে দেয়ার দাবি নিয়ে আসা লোকের সংখ্যা যে কম তাও নয়৷ দিল্লি থেকেই বেশি অর্ডার আসে বলে জানাচ্ছেন তারা৷
এ কাজকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন তারা৷ এক তো হাতের লেখা বাঁচিয়ে রাখা৷ দ্বিতীয়ত, অন্যের হয়ে অন্যের মনের কথা সঠিকভাবে প্রকাশ করাও চাট্টিখানি কথা নয়৷ তবে অনুভব জানাচ্ছেন, এ রকম চিঠির জেরে যখন প্রেমিক-প্রেমিকার কোনো সমস্যা মিটে যায় তখনই সত্যিকার আনন্দ হয়৷