বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে তিন দিনের মেলা ‘এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার’। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এই মেলা উদ্বোধন করবেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। পর্যটন বিচিত্রার আয়োজনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) এর সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন হচ্ছে।
এই মেলায় মোট ১২০ টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রবেশ কুপনের বিপরীতে সকলের জন্য থাকছে ফ্যান্টাসি কিংডমে প্রবেশ মূল্যে পঞ্চাশ শতাংশ ছাড়। এছাড়া র্যাফেল ড্র এর গিফট ভাউচরে থাকছে ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা, ঢাকা- ইয়াংগুন-ঢাকা বিমান টিকিট, হলিডে গিফট ভাউচার সহ নানা আকর্ষণীয় উপহার।
এই মেলার কারণে দেশের আকর্ষণীয় ও দর্শণীয় স্থানে পর্যটন সেবার সমন্বয় ঘটবে বলেও আশা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বক্তারা বলেন, সরকার ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করেছে। এ জন্যই পর্যটনের বিকাশে নানা উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের আহবায়ক মহিউদ্দিন হেলাল জানান, ‘তিন দিনের এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে।
সংবাদ সম্মেলনের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান অপরুপ চৌধুরী বলেন, ‘গণমাধ্যমকে ইতিবাচক সংবাদ প্রচার করতে হবে। কোন অঘটনের ছবি বারবার দেখানো হলে বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে বাংলাদেশ ভ্রমণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে পর্যটকরা।’
বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকার ই ভিসা দেওয়ার চিন্তা করছে বলে আপরুপ চৌধুরী। বলেন, ‘একজন টুরিস্ট এখানে আসলে সাতজনের আয়ের সুযোগ হয়। তারা এখানে টাকা খরচ করতে আসে। তাই আমাদের সকলের উচিত এ খাতের জন্য সহায়তা করা।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান খান কবির, ইনবাউন্ড ট্যুর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইকরাম, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন আব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট খবির উদ্দিন আহমেদ, ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট তৌফিক উদ্দিন আহমেদ, ট্যুরিজম ডেভেলপার্স এসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এ কে এম বারী।