এইবার গুগল সাবালক হল। পাক্কা ১৮ বছর বয়স তার! মানে, ফূর্তিও অন্তহীন! দেদার মজার সেই ছবিই ধরা দিল গুগলের নতুন ডুডলে। মাথায় একটা গোলাপি ত্রিকোণা টুপি পরে, যেটা থেকে কি না একটা হলুদ বলও ঝুলছে, জন্মদিন পালনে ব্যতিব্যস্ত আমাদের বড় আদরের গুগলের G। নীল সেই G বাগে পেয়েছে একটা লম্বাটে সবুজ বেলুনকে। তার পর আর সেটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করতে কত সময় লাগে!
আর, যেই না শেষ হল বেলুন ফোলানোর পালা, G সেটাকে পেঁচিয়ে বানিয়ে ফেলল O, O, G, L আর E! কিন্তু, ওটা যে ছিল গ্যাস বেলুন! ফলে মাধ্যাকর্ষণ ছাড়িয়ে আকাশে পাড়ি দিল জুড়ে যাওয়া G, O, O, G, L আর E। সব মিলিয়ে GOOGLE। এভাবেই চলতে থাকে আনন্দের পালা!
তথ্যপ্রযুক্তি বলবে, ব্যাপারটা স্রেফ একটা পেজের সঙ্গে অনেকগুলো পেজের সংযুক্তি, আর কিছুই নয়। তবু, এতটাও যান্ত্রিক ভাবে গুগল-কে মানতে মন চায় না। সে আমদের সব সময়ের সঙ্গী। মানুষ হারিয়ে যায়। কিন্তু, গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে কিছুই হারায় না।
কিন্তু, তার শুরুটা? সহজ করে যদি বলি জন্মদিন? আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, সগৌরবে জন্মদিন পালন করছে গুগল। অতএব, এটাই তার শুরুর দিনও- এমন হিসেবে পৌঁছানোটাই কি যুক্তিসঙ্গত নয়? স্বাভাবিক হিসেব তো তাই বলে! কিন্তু, দেখা যাচ্ছে, এক্ষেত্রে দুইয়ে দুইয়ে চার করা যাবে না।
কেন না, এই ২৭ সেপ্টেম্বর জন্মদিনের তারিখ হিসেবে সর্বসম্মত হয়েছে এই তো সেদিন! ২০০৬ সাল থেকে! কিন্তু, তার ঠিক আগের বছরেই, মানে ২০০৫এ গুগল জন্মদিন পালন করেছে ২৬ সেপ্টেম্বর। আবার ২০০৪ এ যখন ৬ বছরের জন্মদিনে মেতেছে, তখন সেই দিনটা ছিল ৭ সেপ্টেম্বর। তার আগের বছরে জন্মদিন পালন করা হয়েছিল ৮ সেপ্টেম্বর। ও দিকে, তথ্যপ্রমাণ বলছে, আদতে গুগল অফিস তৈরি হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। কেউ কেউ আবার আরও একধাপ এগিয়ে, দুই গুগল মালিক ল্যারি পেজ এবং সার্জি ব্রিন যখন গবেষণাগারে গুগল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যস্ত, সেই ১৯৯৬ সালটাকে গুগলের জন্মের বছর বলতে চান!
তাহলে? অন্যের দাবি না হয় ছেড়ে দেওয়া যেতেই পারে! কিন্তু, গুগলের নিজের জন্মদিন নিয়ে এমন তারিখের হেরফের কেন?
কারণটা সঠিক জানা যায় না। গুগল নিজেই জানায়নি। তবে, ২০১৩ এর সেপ্টেম্বরে একটা কৈফিয়ত দিয়েছিল ঠিকই! তারা আর নানা রকম তারিখে নয়, ২৭ সেপ্টেম্বরটাকেই জন্মদিনের তারিখ হিসেবে পাকাপাকি ভাবে বেছে নিল।