পাইপলাইনে ছিদ্র হয়ে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরেই উত্তরার আলাউদ্দিন টাওয়ারে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ঈদুল ফিতরের আগে ঘটা এই বিস্ফোরণের কারণেই লিফট ছিড়ে এবং আগুনে পুড়ে নয় জন নিহত হয়।
এই দুর্ঘটনার পর আলাউদ্দিন টাওয়ার বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ঈদুল আযহার আগেই চালু হয় দোকান। তবে এখনও পুরোপুরি গুছিয়ে নিতে পারেননি ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা। আর উদ্বেগ রয়ে যাওয়ায় ক্রেতার সংখ্যাও আগের চেয়ে কম।
ঈদুল ফিতরের আগে কেনাকাটা যখন তুঙ্গে সেই সময় ২৪ জুন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। উদ্ধার কাজ শেষ করার পর বিস্ফোরণের কারণ জানতে দুই দিন পর গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। আড়াই মাসেও সেই প্রতিবেদন জমা দেয়নি ফায়ার সার্ভিস। তবে তদন্ত গুছিয়ে আনার কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে তদন্তে গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় বুয়েটও কাজ করেছে। তবে যৌথভাবে কাজ করলেও মূলত প্রতিবেদন তৈরি করেছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মূলত গ্যাস জমে ওই আগুন লাগে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্যাস জমে এই ঘটনা ঘটলেও এর জন্য ভবন মালিক না তিতাস দায়ী তা আমরা বের করতে পারিনি। কারণ এই অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাপাতি বা সক্ষমতা এখনও পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের নেই।’
তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হলেও তা কেন জমা দেয়া হয়নি-জানতে চাইলে কমিটির প্রধান ও ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (অপারেশন) জহুরুল আমিন মিয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা ছাড়াও আরও তিনটি সংস্থাকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এর মধ্যে দুই সদস্য মতামত দিলেও তিতাসের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোন মত দেওয়া হয়নি। তাই এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন দিতে পারিনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের প্রকৌশলী এনামুল হক বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করেছি। মূলত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন ওনারা। সুতারাং এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসই বিস্তারিত বলবে।’