রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে ‘বাঁচাও সুন্দরবন’ স্লোগানে আয়োজিত সাইকেল মিছিলে ছাত্রলীগ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। দফায় দফায় ছাত্রলীগের বাধা সত্ত্বেও কর্মসূচি সফল করেছেন বলে দাবি করেছেন বাঁচাও সুন্দরবন সাইকেল মিছিলের সমন্বয়ক সামান্তা শারমিন।
সংগঠনের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিলটি শুরু হওয়ার সময় ছাত্রলীগ পুরো শহীদ মিনার এলাকা ঘিরে রাখে। তারা আন্দোলনকারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। ছাত্রলীগ জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়ানো তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ বন্দর ও খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।
একই সময়ে একই স্থানে ছাত্রলীগ ‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাই’ ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করে। তাদের দাবি, এই কর্মসূচি আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। সাইকেল মিছিলে বাধা দেয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন ছাত্রলীগ নেতারা।
সকাল ৯টা থেকে সুন্দরবন বাঁচানোর দাবিতে সাইকেল নিয়ে শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। ফেসবুকে খোলা একটি ইভেন্ট সাড়া দিয়েই সুন্দরবন বাঁচানোর দাবিতেই র্যালিতে যোগ দিতে আসেন তারা।
সাইকেল মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মোহাম্মদপুর, সংসদ ভবন, ফার্মগেট, শাহবাগ হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সাইকেল মিছিলে দফায় দফায় ছাত্রলীগের হামলা এটাই প্রমাণ করে যে, সরকার ভয় পেয়েছে এবং সরকারের নৈতিক পরাজয় ঘটেছে।’
বিকালে তোফখানা রোডের নির্মল সেন মিলনায়তনে সাইকেল মিছিলের আয়োজকেরা এক সংবাদ সম্মেলন করে। এতে বলা হয়, সুন্দরবন রক্ষার যে চলমান আন্দোলন তা আরও জোরালো হবে।