প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৬:০২:৪৭আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৭:৪৮:১৪
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে লাখো মানুষের সমাগম
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ‘দেখার মতো’ সংবর্ধনা দিতে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে জড়ো হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। মিছিল করে দল বেঁধে প্রতি মুহূর্তে আসছেন হাজারো মানুষ।
১৬ দিনের সফর শেষে বিকাল পাঁচটা ২০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা আছে প্রধানমন্ত্রীর।তবে তার ফ্লাইট দেড় ঘণ্টা বিলম্বের কথা জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
রাজধানী ঢাকাসহ আশেপাশের জনপদ থেকে হাজারো কর্মী অবস্থান নিয়েছেন বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সড়কে। গাড়িতে করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়েও এসেছেন কেউ কেউ। আরও এসেছে ঘোড়ার গাড়ি, এসেছে অতিকায় হাতি। সবার লক্ষ্য একটাই। প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার পথে তাকে অভিনন্দন জানাতে চায় সবাই।
সড়কে অবস্থান নেয়া নেতা-কর্মীদের চাপে ফার্মগেট থেকে মহাখালী পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গাড়িগুলো বিকল্প পথ দিয়ে মহাখালী হয়ে চলাচল করছে। এতে শুক্রবার ছুটির দিনও এই পথে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। শুরুতে যুক্তরাজ্য, এরপর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে সে দেশে যান।
কানাডায় প্রধানমন্ত্রীর সফরে বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে এনে তার ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের বিষয়ে সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। কানাডা মৃত্যুদণ্ডবিরোধী হলেও শেখ হাসিনা ও জাস্ট্রিন ট্রুডোর বৈঠকে দুই পক্ষই নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে একমতে পৌঁছানোর কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে এ কারণেই বিশেষভাবে আপ্লুত।
এই সফরে প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল ফান্ড মিটিংয়ে যোগ দেন। এরপর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক যান। ২১ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের বাংলায় ভাষণ দেয়ার পাশাপাশি তিনি বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
নারীর ক্ষমতায়নের জন্য অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রীকে এজেন্ট অব চেঞ্জ ও প্লানেট ফিফটি ফিফটি চ্যাম্পিয়ন নামে দুটি পুরস্কারে ভূষিত করে জাতিসংঘ।
প্রধানমন্ত্রীর গত ২৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা থাকলেও পরে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে তা চার দিন পেছানো হয়।
বাংলাদেশ সময় গত রাতে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস বিমানবন্দর থেকে এমিরেটসের এইট ফ্লাইট দিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময়ই আওয়ামী লীগ তাকে সংবর্ধনা দেয়ার কথা জানিয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, এই সংবর্ধনা হবে দেখার মতো।
বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে সড়কের দুই ধারে দাঁড়িয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানাবে আওয়ামী লীগ। নেত্রী বিকাল সাড়ে পাঁচটার আগে বের হবেন না, এটা জানা থাকলেও বেলা তিনটা থেকেই ফুটপাতে অবস্থান নিতে শুরু করে নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে সড়কে নেমে আসে তারা।
বিমানবন্দর সড়কে রেডিসন হোটেলের সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন কয়েক হাজার নেতা-কর্মী। তারা বিভিন্ন রঙের ব্যানার, ফেস্টুন, আওয়ামী লীগের পতাকা ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে এসেছে।
ধামরাই থেকে আসা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘নেত্রী আমাদের জন্য অনেক কাজ করছেন, দেশের জন্য সম্মাননা নিয়ে আসছেন। তাই আমরা এখানে এসেছি তাকে ধন্যবাদ জানাতে।’
তা সঙ্গে আসা আরেক কর্মী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, আমরা সবাই এর সঙ্গী হতে চাই।