প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ২১:০০:৩৭আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ২২:২৯:৩৩
ফুল আর কবিগুরুর গানে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ
তানিম আহমেদ, ঢাকাটাইমস
দীর্ঘ ১৭ দিন পর দেশে ফিরলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে বরণ করে নেয়ার জন্য দুপুর থেকেই প্রস্তুত ছিল রাজধানী ঢাকা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন-গণভবন পর্যন্ত ছিল লোকে লোকারণ্য। করতালি আর স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
বিমানবন্দরে মন্ত্রিসভার সদস্যগণ ছাড়াও দলের সিনিয়র নেতারা তাঁকে স্বাগত জানান। এদিকে গণভবনের গেটে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে হাজির ছিলেন শিল্পী, সাহিত্যিক থেকে শুরু করে রাজনীতিকরাও।
সন্ধ্যা সাতটা ৩৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর যখন গণভবনের গেটে আসে তখনই ভেসে ওঠে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কোমল গলায় কবি গুরুর সেই গান-‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি/তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী!/ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে!/ তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে॥’
বন্যার গানের সঙ্গে তখন উপস্থিত সবাই গলা মেলান। গলা মেলান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, নৃত্য শিল্পী শিবলি সাদিক, শামিম আর নিপা, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সায়ীদ আল মাহমদু স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য মির্জা আজম, তারানা হালিম।
২২ ঘন্টা বিমান জার্নি করে আসা প্রধানমন্ত্রী এসময় পুরো অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন বলেই মনে হয়েছে। গান শেষে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন।
গণভবনে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা ঢাকাটাইমসকে জানান, “প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ফুরফুরে লাগছিল। তাকে বেশ প্রাণবন্ত লাগছিল।”
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ১৭ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে সংবর্ধনা দেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে গণভবন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল সংবর্ধনা দেয় সংগঠনটির লাখো নেতাকর্মী।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর বোর্ডিং ব্রিজেই তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ। ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যগণ ছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্যগণ।
প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সরাসরি গণভবনের উদ্দেশে রওনা হয়।
১৭ দিন আগে ঈদুল আজহার পরদিন কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। কানাডা জিএফ সম্মেলনে অংশ নিয়ে নিউ ইয়র্কে গিয়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেন তিনি।
জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।
২৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা থাকলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর জন্য তা পরিবর্তন হয়। নিউ ইয়র্ক থেকে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাড়ি ভার্জিনিয়ায় যান তিনি। গত বুধবার ভার্জিনিয়ায় ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনীর সঙ্গে নিজের জন্মদিন কাটিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ভার্জিনিয়ার ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার এমিরেটসের ফ্লাইটে ঢাকার পথে রওনা হন শেখ হাসিনা।