ময়মনসিংহে ত্রিশালে সবুজ বিপ্লব। উদ্দেশ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র বৃক্ষ রোপনের আহবানে সাড়া দেয়া এবং দ্রুত নগরমুখী ত্রিশাল উপজেলায় সবুজের সমারোহ বৃদ্ধি করা। সবুজ বিপ্লবে জড়িত রাখার মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের মাদকদ্রব্য, বাল্যবিবাহ ও জঙ্গিবাদ হতে দূরে রাখা এবং পরিবেশের ভারসাম্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ১ অক্টোবরের মধ্যে এবছর সবুজ বিপ্লবে গোটা ত্রিশাল তিন লক্ষ পাঁচ হাজার চারা বিতরণ করা। যদিও সিংহভাগ চারা বিগত প্রায় একমাসে বিতরণ করা হয়েছে ।
সরেজমিনে দেখা গেলো, কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুক্রবার ছুটির দিনেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় খোলা। উপজেলার সকল উদ্যোক্তারা তার ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ১৫০০০ চারা এসে পৌঁছেছে কিনা, না পৌঁছলে, কখন আসবে এসব মনিটনিং করছে খোদ নির্বাহী কর্মকর্তা? মাঠ এর কী অবস্থা, বিশুদ্ধ পানি, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার, রিমোট স্কুলগুলোতে চারা পাঠানোর সার্বিক ব্যবস্থা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব, ইউপি ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের।
ইউএনও আবু জাফর রিপন জানান, ১ অক্টোবর শনিবার ত্রিশাল উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ১২টি গেদারিং পয়েন্ট (জমায়েত কেন্দ্র) ও সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছের ১ লাখ ৮৫ হাজার চারা ও ‘তোমার গাছটি কেমন আছে’ এ শিরোনামে একটি ফরম ও একটি গাছের হেলথ কার্ড বিতরণ করা হবে। এর মধ্যদিয়ে উপজেলায় এ বছর তিন লাখ পাঁচ হাজার চারা বিতরণ সম্পন্ন হবে।
আসুন দ্রুত নগরায়নমুখী ত্রিশালকে সবুজ ত্রিশালে রূপান্তরের এ উৎসবে সবাই যোগদান করি। সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করি।
উপকারভোগীরা জানান, যারা ভাল কিছু করে তারা বাইরে থেকেই আসেন। ইউএনও আবু জাফর রিপন ‘সবুজ ত্রিশাল’ এর রূপকার। তিন ত্রিশালে সবুজের বিপ্লব ঘটিয়েছেন। আমরা গর্বিত এমন একজন গুণী কর্মকর্তার অধীনে ‘সবুজ ত্রিশাল’ নামক একটা মহৎ কাজের সাথে নিজেদের যুক্ত করতে পেরে।
ত্রিশাল উপজেলায় তিনি এসেছেন সেবা দিতে, হয়তোবা তিনি একদিন ত্রিশালে থাকবেন না, কিন্তু ত্রিশালবাসী তার ‘সবুজ ত্রিশাল’-এর কথা সারাজীবন মনে রাখবে, তিনি আমাদের শিখিয়েছেন, সঠিক পরিকল্পনা, পরিকল্পিত শ্রম আর ভাল কাজের ইচ্ছা থাকলে সব সম্ভব।
(ঢাকাটাইমস/৩০ সেপ্টেম্বর/আঞ্চলিক প্রতিনিধি/এলএ)