ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের 'শাস্তি’ হিসেবে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং লাঠিপেটা করে ধর্ষককে ছেড়ে দিয়েছেন স্থানীয় এক ইউপি সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার নান্দাইল ইউনিয়নের সদস্য গোলাম রাব্বানী খোকন ও তার লোকজন সালিশ বসিয়ে এ রায় দেন।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মহেশপুর গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে রতন মিয়া (৩০) ওই ছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে এলাকাবাসী এসে রতনকে আটক করে।
বৃহস্পতিবার ইউপি সদস্য গোলাম রাব্বানী খোকন পুলিশকে এ ঘটনা না জানিয়ে সালিশের নামে ‘ধর্ষক’কে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় অভিযুক্তকে লাঠিপেটাও করা হয়।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ দফাদার আবদুল বারেক জানান, তিনি ঘটনাটি নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় মেম্বারের চাপে তা সম্ভব হয়নি।
ইউপি সদস্য গোলাম রাব্বানী সালিশের কথা স্বীকার করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, পরিবারটি দরিদ্র হওয়ায় তিনি ধর্ষিতা মেয়েটিকে সহায়তা করার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি আতাউর রহমান শুক্রবার বলেন, ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে ঘটনাটির বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় সালিশের কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।