ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রানা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ খুনের কারণ উৎঘাটনে দলীয় কোন্দল, ব্যবসায়িক ও পারিবারিক শত্রুতা-এই তিনটি বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দলে আধিপত্য বিস্তারের কারনেই প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। নিহত রানা রমনা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। স্বজনদের অভিযোগ, দলীয় কোন্দল ও অধিপত্য বিস্তারের কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই খুনের পেছনে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রানার বন্ধু রিপন জানান, মগবাজার মোড়ে মসজিদ গলিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি অফিস রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রানা তাকে নিয়ে ওই অফিস থেকে মোটরসাইকেলযোগে বের হন। মগবাজার মসজিদ গলি দিয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত তাদের লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এরপর তাকে ধাওয়া করে দুর্বৃত্তরা। রানা মটরসাইকেল থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে রানাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে রানা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। রানার চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রানাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাগ্নে আদর আলী অভিযোগ করেন, দলীয় অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই স্বেচ্ছাসেবক লীগের রমনা থানা সভাপতির সঙ্গে রানার বিরোধ চলছিল। রানা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন।
এর আগে তিনি রমনা থানা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। দলীয় কোন্দলের কারণে তারা মামা খুন হতে পারেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, দলীয় কোন্দল,ব্যবসায়িক ও পারিবারিক শত্রুতা মাথায় রেখে তদন্ত করছে পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এসময় দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া কয়েকটি ককটেল ও রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত নিহতের পরিবার পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের করেনি।
(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/এএ/ এআর/ ঘ.)