logo ০৩ মে ২০২৫
কোন্দলে বিপর্যস্ত স্বাচিপ, বিরোধে নিষ্ক্রিয় ড্যাব
হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, ঢাকাটাইমস
১৯ মার্চ, ২০১৪ ২২:১২:৩৫
image


ঢাকা: আওয়ামী লীগপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৩ সালে। তখন সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আফম রুহুল হক এবং মহাসচিব হন অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০০৬ সালের মধ্যে নতুন কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও আর হয়নি। ফলে ১১ বছর ধরে একই কমিটি দিয়ে চলছে সংগঠনটি।

প্রায় একই চিত্র বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (ড্যাব)। ২০০৪ সালে একেএম আজিজুল হককে সভাপতি এবং এজেডএম জাহিদ হোসেনকে মহাসচিব করে কমিটি অনুমোদন দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। সেই থেকে নেতৃত্বে আর পরিবর্তন নেই। এক দশক ধরে সংগঠনটি চলছে একই কমিটি দিয়ে।

কমিটি পুনর্গঠন নিয়ে সংগঠন দুটির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সদস্যদের মধ্যে ছড়াচ্ছে হতাশা ও ক্ষোভ। নতুন নেতৃত্বের সুযোগ সৃষ্টি না হওয়ায় স্বাচিপে বাড়ছে কোন্দল, অন্যদিকে সক্রিয় নেতৃত্বের অভাবে কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে ড্যাব। তবে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ডিন অধ্যাপক ইকবাল আর্সলানের দাবি, ‘কেউ স্বাচিপের সম্মেলন ইচ্ছেকৃতভাবে আটকে রাখেনি।’ তাহলে গত ১১ বছরে সম্মেলন হয়নি কেন? তিনি বলেন, ‘স্বাচিপের সাংগঠনিক শক্তি দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন কর্মসূচিতে চিকিৎসকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই তার প্রমাণ দেয়।’

জানতে চাইলে ড্যাব মহাসচিব এজেডএম জাহিদ হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘নতুন কমিটির কী প্রয়োজন? এখন তো সংগঠন ভালোই চলছে। তাছাড়া বিএনপির বিভিন্ন শাখার কমিটি পুনর্গঠনের সঙ্গে ড্যাবের কোনো সম্পর্ক নেই। ড্যাব স্বতন্ত্র একটি সংগঠন।’

স্বাচিপের মাথাব্যথা কোন্দল : স্বাচিপের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) শাখার এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের সময় আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের মতো স্বাচিপ সদস্যরাও আন্দোলন-সংগ্রামে প্রথম সারিতে থেকেছে। ঢাকাসহ সারাদেশেই সংগঠনের নেতাকর্মীরা সক্রিয় ছিল। কিন্তু দীর্ঘ ১১ বছর ধরে সম্মেলন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব আসার পথ প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। তাছাড়া স্বাচিপের বর্তমান কমিটিও কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় আমরা বহুবার নির্বাচনের দাবি জানালেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

স্বাচিপের একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে ঘিরে ‘স্বঘোষিত’ একাধিক উপকমিটি করা হয়েছে। এসব উপকমিটির পক্ষ থেকে আলাদাভাবে কর্মসূচিও দেয়া হয়। বেশিরভাগ উপকমিটিই কেন্দ্রের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ সম্পর্ক রাখছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট স্বাচিপ শাখার এক সদস্য বলেন, ‘রুহুল হক মন্ত্রী থাকাকালে নিজের ক্ষমতা দিয়ে পদ আঁকড়ে ছিলেন। অথচ তিনি মন্ত্রীর হওয়ার পর সংগঠনের জন্য কোনো সময় দিতে পারেননি। এ নিয়ে স্বাচিপের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে দেখা করলেও কোনো ফল হয়নি।’

মহাজোট সরকারের আমলে স্বাস্থ্য খাতে বেশ কয়েকটি বড় নিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে এডহক ভিত্তিতে প্রায় চার হাজার চিকিৎসক, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রকল্পে ১৪ হাজারেরও বেশি মাঠকর্মী ও নার্স নিয়োগ উল্লেখযোগ্য। এসব নিয়োগকে কেন্দ্র করে স্বাচিপের নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে নানা বিরোধ তৈরি হয়।

এর বাইরে চিকিৎসকের বদলি, পদোন্নতিতেও স্বাচিপ নেতাদের বড় ধরনের প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠে। এগুলোকে কেন্দ্র করে স্বাচিপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের শেষ নেই। তাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতেই বর্তমান কমিটি পদ আঁকড়ে রাখতে চাইছে।

সম্মেলনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল ২০১১ সালে

বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের চাপে বছর দুয়েক আগে স্বাচিপের সম্মেলন অনুষ্ঠানে দাবি বেশ জোরালো হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজে দ্রুত সম্মেলন করে স্বাচিপের নতুন কমিটি করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর স্বাচিপের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ডাব্লুও সম্মেলনের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলেন।

এরপরই স্বাচিপের নতুন কমিটিতে পদ পেতে শুরু হয় রথী-মহারথীদের দৌড়ঝাঁপ। পদ পেতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকের কাছেও ধরনা দেন কেউ কেউ। পদ পেতে ইচ্ছুকদের লাগামহীন দৌড়ঝাঁপের বিষয়টি একসময় প্রকাশ্যে চলে আসে। এ নিয়ে আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ তোলা হয় কারো কারো বিরুদ্ধে। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রীও নিজের আস্থাভাজন ব্যক্তির পক্ষে তদবির করতে প্রধানমন্ত্রীর দারস্থ হয়েছিলেন।

কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পেতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের এমন তৎপরতায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল তখন প্রকাশ্যে চলে আসে। এক অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ স্বাচিপ শাখার এক অংশের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হক। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই অনুষ্ঠানে শিগগির সম্মেলন করে তিনি নতুন কমিটি করার আশ্বাস দেন। কিন্তু তা আর বাস্তবায়ন হয়নি।

আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, নতুন কমিটিকে ঘিরে স্বাচিপের মধ্যে যেভাবে দলাদলি শুরু হয়েছিল তাতে সম্মেলন করা সহজ ছিল না। ওই সময় অবস্থা এমন ছিল যে, নতুন কমিটি হলে কোনো না কোনো পক্ষ তার বিরোধিতা করবে। এতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরো প্রকোপ হতো। তাই সব দিক বিবেচনায়, হাইকমান্ডের নির্দেশে সম্মেলন স্থগিত রাখা হয়।

মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট শাখার এক স্বাচিপ নেতা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘স্বাচিপ সভাপতি এবং মহাসচিব দু’জনের কারণেই সম্মেলন হচ্ছে না। তারা চাইছেন, যে কোনো উপায়ে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতে।’

মন্ত্রিত্ব হারানোর পর স্বাচিপে কোণঠাসা রুহুল হক

মন্ত্রী থাকতে রুহুল হকের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখাননি কেউই। কিন্তু নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে বাদপড়া এবং নির্বাচনী হলফনামায় দেয়া সম্পদের হিসাব নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের পর কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাচিপ নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশও তাকে নিয়ে স্বস্তিতে নেই।

বিএমএর সাবেক এক শীর্ষ নেতা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সংগঠন হাতছাড়া হতে পারে এই চিন্তায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকতে নির্বাচন দেননি রুহুল হক। বরং নিজের অনুগামী-অনুসারীদের সঙ্গে রেখে নিজস্ব বলয় গড়েছেন। এই অংশটি মন্ত্রীকে ব্যবহার করে বিভিন্ন নিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল টাকা কামিয়েছে। এদের জন্যই গোটা সংগঠনকে দুর্নামের ভাগিদার হতে হচ্ছে।’

স্বাচিপের প্রভাবশালী এক নেতা বলেন, ‘মন্ত্রী থাকতে রুহুল হক একটি ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ের লাইসেন্স পেয়েছেন। ওষুধ কোম্পানির মালিক হয়েছেন। হঠাৎ করে তার সম্পদ কত দ্রুত বেড়েছে তা হলফনামা দেখলেই বোঝা যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিত সরকারের মন্ত্রিসভার মতো স্বাচিপকেও দুর্নীতিগ্রস্তদের হাত থেকে রক্ষা করা।’

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ডাব্লু ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘একই কমিটি দিয়ে দীর্ঘকাল কোনো সংগঠন চলতে পারে না। এতে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির পথ বন্ধ হয়ে যায়। তাই উপজেলা নির্বাচনের পর পরই স্বাচিপের সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হবে।’ এর আগে ২০১১ সালে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়ার পর কেন তা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তখন হয়নি, এখন হবে।’

অভ্যন্তরীণ বিরোধে কার্যত নিষ্ক্রিয় ড্যাব

এক দশকের পুরনো কমিটি দিয়ে আর চলছে না ড্যাব। এমনই বেহাল দশা হয়েছে যে, রক্তদান ও দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দেয়া ছাড়া গত কয়েক বছর ধরে তেমন কোনো কার্যক্রমই নেই সংগঠনটির। বিএনপির অন্যান্য সমর্থক সংগঠনের মতো সরকারবিরোধী আন্দোলনে ড্যাবও অনেকটা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় দুই-একজন নেতাকে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে মাঝেমধ্যে দেখা গেলেও একক উদ্যোগে বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি চোখে পড়ছে না। এসব কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াও দলের বৈঠকে সবার সমানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের অকার্যকর কমিটি ভেঙে শিগগির নতুন কমিটি করার আভাস দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ড্যাব শাখার এক নেতা বলেন, চারদলীয় জোট ক্ষমতায় থাকতে স্বাস্থ্যখাতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন জাহিদ হোসেন। সেই থেকেই তিনি ড্যাবের মহাসচিবের পদ আঁকড়ে আছেন। তার একান্ত কিছু অনুগামী-অনুসারী ছাড়া কেউই চান না তিনি এখনো ড্যাবের কোনো পদে থাকেন। তাই অবিলম্বে নতুন কমিটি করা প্রয়োজন।

তবে ড্যাব মহাসচিবের দাবি, গত পাঁচ বছরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির মূল ধারার নেতাকর্মীদের চেয়ে ড্যাবের চিকিৎসকরা রাজপথে বেশি ছিলেন।

দোলন-জাহিদ দ্বন্দ্ব

সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন অনুমোদিত ড্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে মাযহারুল ইসলাম দোলনের দ্বন্দ্ব দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সময় থেকে। দলের বর্তমান কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদকের পদটি পেতে চেয়েছিলেন জাহিদ। কিন্তু বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থাভাজন দোলনের নামের পাশে এই পদটি যোগ হওয়ার পর থেকেই এ দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

২০১২ সালে চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) নির্বাচনের আগে দলের প্রতিষ্ঠাতার মাজারে ফুল দিতে গিয়েও দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এছাড়া বিএমএ নির্বাচনের আগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ঢাকার ছয়টি প্রতিষ্ঠানে ড্যাবের নতুন কমিটি করেন বিএনপির সিনিয়র চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত দোলন। এগুলো হচ্ছেÑ বিএসএমএমইউ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ইউনিট, ঢাকা মহানগর ডেন্টাল ইউনিট ও ঢাকা জেলা ডেন্টাল ইউনিট। তিনি ওই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এসব কমিটির অনুমোদন দেন বলে প্রচার করা হয়। অথচ নিয়ম অনুযায়ী কোনো শাখা কমিটি হয় কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন ওই কমিটির অনুমোদন দেন। পরে ড্যাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টিকে নাকচ করা হয়। সূত্র জানায়, ওই সময় জাহিদ হোসেন ও মাযহারুল ইসলাম দোলনকে ঘিরে ড্যাব অনুসারী চিকিৎসকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়ে বিএমএ নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে ড্যাবের প্যানেল আশানুরূপ ফল করতে পারেনি।

বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক কাজী মাযহারুল ইসলাম দোলন মনে করেন, এক দশক একই কমিটি দিয়ে কোনো সংগঠন চলতে পারে না। এতে সংগঠনের ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে যায়। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিগত সময়ে বিএনপির বিভিন্ন আন্দোলনে ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কেউই খুব বেশি দক্ষতা দেখাতে পারেনি। তাই সময় এসেছে ড্যাবে নতুন নেতৃত্ব আনার।’

(ঢাকাটাইমস/১৯ মার্চ/এইচএফ/এআর/  ঘ.)