ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধাদের অভাব-অভিযোগ মেটাতে আর সাহায্য-সহযোগিতার বিষয়টি যুদ্ধের পর পরই ভেবেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে যাঁরা ছিনিয়ে এনেছেন একটি মানচিত্র, একটি পতাকা, একটি জাতীয় সঙ্গীতÑতাঁরা কষ্টে থাকবে, তাই কী হয়? যুদ্ধ জয়ের পর পরই তাই মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। সে সময়ের লাভজনক ৩২টি প্রতিষ্ঠান আর বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ভবন দেওয়া হয় সেই ট্রাস্টকে। কিন্তু এর সুবিধা গরিব মুক্তিযোদ্ধারা কতটা পেয়েছেন সে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশবাসীর মনে।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে একের পর এক লোকসান দিতে থাকে লাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি। ঋণে জর্জরিত হয়ে বন্ধও হয়ে যায় বেশ কটি। দক্ষ ব্যবস্থাপনার অভাব, বেদখল আর লুটেরাদের অসৎ তৎপরতা তো ছিলই। আশির দশকে ৩২টির মধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠানই মূলধন সংকট এবং লোকসানের মুখে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়। পরে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থাও দিনে দিনে খারাপ হতে থাকে। আশির শেষ এবং নব্বই দশকের প্রথম দিকে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪টি বন্ধ ও বিলুপ্তির পর্যায়ে চলে যায়। বাকি থাকে চারটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া তিনটি প্রতিষ্ঠানই ঘুরপাক খাচ্ছিল লোকসানের বৃত্তে।
একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় ট্রাস্টের সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠান কোমলপানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাবানী বেভারেজ (কোকাকোলা)। ২০১০ সাল পর্যন্তও শত শত কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ, গ্যাস-বিদ্যুতের বকেয়া এবং অডিট আপত্তির বোঝা ছিল মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কাঁধে। বেদখলে ছিল শত কোটি টাকার সম্পদ।
তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তৈরি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবার পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা শুরু হয়। পাঁচ বছরের চেষ্টায় পরিস্থিতি পাল্টেছে অনেকটাই। নতুন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের মাধ্যমে ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার প্রত্যয়ে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানটি।
ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেনারেল মোহাম্মদ আলী সিকদার (অব.) ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘অনেক চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে ভঙ্গুর দশা থেকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে টেনে তোলা হয়েছে। আরও উন্নতির জন্য প্রতিনিয়তই চেষ্টা চলছে। গত পাঁচ বছরে ট্রাস্ট সব ধরনের দায়-দেনার বোঝা থেকে মুক্তি পেয়েছে। বকেয়া ও পাওনা আদায় হয়েছে। একটি কল্যাণ ট্রাস্ট একটি আর্থিক সচ্ছল ও নিষ্কণ্টক প্রতিষ্ঠান।’
ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, কল্যাণ ট্রাস্টকে সচ্ছল অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর পাঁচ বছর মেয়াদি একটি কর্মপরিকল্পনা অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছিলেন। সেই সুবাদে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে মাত্র সাড়ে ১৮ কোটি টাকা তারা নিয়েছেন। এরই মধ্যে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা অর্জন করায় বাকি টাকা সরকারের কাছেই রয়ে গেছে।
মওকুফ হয়েছে ১২৬ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ
একদিকে ক্রমাগত লোকসানের মুখে আয়ের অন্যতম উৎস শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া অন্যদিকে সুদসহ ১২৬ কোটি টাকা ঋণের বোঝা রীতিমতো চরম বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য পরিকল্পনা করা হলেও তা বাস্তবায়নে টাকা পাওয়া যাচ্ছিল না কোনো জায়গা থেকে। এমনকি খেলাপি হওয়ায় নতুন করে ব্যাংক ঋণ পাওয়ার পথও বন্ধ হয়ে যায় ট্রাস্টের সামনে। এ পরিস্থিতিতে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলপ্রসূ উদ্যোগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ মওকুফ করে নেয় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। এখন প্রতিষ্ঠানটির ওপর কোনো ধরনের ঋণের বোঝা নেই।
কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ : লোকসানের মুখে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। সরকারি যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন কর্মচারীরা। তবে ট্রাস্ট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে কর্মচারীদের যাবতীয় পাওনা বাবদ প্রায় ১০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমান কর্মচারীদের মধ্যে যারা পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে পদোন্নতিও দেওয়া হয়েছে।
সুদ মওকুফ করে পরিশোধ হয়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল : যাত্রা শুরুর পর থেকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে কোনো ধরনের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল দেয়নি। এতে মোট ৬ কোটি টাকার বকেয়া বিল সুদসহ প্রায় ১৫ কোটিতে গিয়ে দাঁড়ায়। যা পরিশোধ করা কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ছিল অসম্ভব। শেষমেশ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সুদ মওকুফের আবেদনের প্রেক্ষিতে মূল বকেয়া বিল পরিশোধের সুযোগ পায় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট।
বকেয়া ও পাওনা আদায় : ব্যবস্থাপনা ও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ট্রাস্টের মোটা অঙ্কের টাকা পাওনা ছিল বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে। ট্রাস্ট সূত্র জানায়, পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, পাওনা পরিশোধ তো দূরের কথা, বরং পাল্টা মামলা করে নিশ্চিন্তে ভোগ করে যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পদ। তাবানী বেভারেজের ৭ কোটি টাকা বাজারে বাকি ছিল। তবে কোনো কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল না। মিমি চকলেট কর্তৃপক্ষের বাজারে পাওনা ছিল ৭৭ লাখ টাকা ও ইস্টার্ন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া আশির দশকের মাঝামাঝি শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার ট্রাস্টের কয়েকটি স¤পত্তি এক কোটি ৬৯ লাখ টাকায় করে। ৩০ বছরেও সেই টাকা ট্রাস্টকে দেওয়া হয়নি। অনেক চিঠি চালাচালির পর ২০১০ সালের জুন মাসে ২৫ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি মার্কেট ও লিজ দেওয়া জমির টাকাও পাচ্ছিল না মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। মামলার গেঁড়াকলে এসব টাকা আটকে গিয়েছিল। তবে দীর্ঘদিনের জটিলতা ও মামলা মিটিয়ে কোকাকোলা কোম্পানির কাছ থেকে ১৬ মিলিয়ন ডলার আদায় করেছে কল্যাণ ট্রাস্ট। এছাড়া বিভিন্ন ভাড়াটিয়া ও জমি যারা লিজ নিয়েছেন তাদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত বকেয়া বাবদ পাঁচ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে।
বেদখল জমি পুনরুদ্ধার, কাগজপত্রের জটিলতা দূর : প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির জমি ও সম্পদের দলিলপত্রের জটিলতার সুযোগ নিয়ে অনেক মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পত্তি বেদখলে ছিল। এমন অনেক জায়গা ছিল যেগুলো নামে ট্রাস্টের থাকলেও ভোগ করত স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এছাড়া বিভিন্ন সময় জমির দলিল ব্যাংকে জমা দিয়ে ঋণ নেওয়ার ফলে ওই জমির মালিকানা প্রমাণের কোনো কাগজপত্রই ছিল না ট্রাস্টের কাছে। ট্রাস্ট সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ বাজারে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ১৯৯৪ সালে ট্রাস্টের ১.১০ একর জমি দখল করেন। কিন্তু দীর্ঘ ৪০ বছর পর আদালতের আদেশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। জমিটির আনুমানিক দাম ৭০ থেকে ৭২ কোটি টাকা। বর্তমানে জমিটি দখলে রাখতে সার্বক্ষণিক আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৮.৫০ একর জমি নামজারি এবং দলিল করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য পাঁচশ কোটি টাকার ওপরে। এছাড়া ট্রাস্টের সম্পত্তিভুক্ত অন্যান্য জমির রেকর্ড, পর্চা, দলিল ও নামজারি হালনাগাদ করা হয়েছে। ব্যাংকে জমা দেওয়া দলিলপত্রও ট্রাস্টের হাতে এসেছে বলে জানা গেছে।
ট্রাস্টের টাকায় হচ্ছে বহুতল ভবন : দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী আয়ের নিশ্চয়তার জন্য বেশ কয়েকটি বহুতলবিশিষ্ট ভবন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিনটি জায়গায় বহুতলবিশিষ্ট বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন তৈরির কাজ চলছে। ট্রাস্টের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৫-১৬ সালের মধ্যে কাজ শেষ হলে এ তিনটি প্রকল্প থেকে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা মূলধন মিলবে। এছাড়া ঢাকার গজনবী রোডে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বহুতলবিশিষ্ট ভবন তৈরির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে।
নিষ্পত্তি হয়েছে অডিট আপত্তি : কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যাপারে তিন হাজার ৮১টি অডিট আপত্তি আছে। সূত্র জানায়, পরিসেবা খাত যেমনÑপৌরকর, ভূমিকর, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস ও পানির বিল বাবদ বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা বাকি রেখেছিল। পূর্ণিমা ফিলিং স্টেশনের নামেও এক কোটি ২০ লাখ টাকা বকেয়া দেখানো হয়েছে। কিন্তু কার কাছে এই বিপুল পরিমাণ বকেয়া আছে, সেসব কাগজপত্র ফিলিং স্টেশনের কাছে ছিল না। এ ঘটনায় একটি তদন্তও হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে গত কয়েক বছরে প্রায় দেড় হাজার অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
চালু তিনটির মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানের অবস্থা ভালো নয় : ট্রাস্টের চালু প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে মিমি চকলেট লিমিটেড, পূর্ণিমা ফিলিং স্টেশন এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ইসিআই লিমিটেড নামের রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদনের একটি প্রতিষ্ঠান। পূর্ণিমা ফিলিং স্টেশন থেকে প্রতি মাসে ১২ লাখ টাকার বেশি লাভ হচ্ছে। তবে বাকি দুটি গত কয়েক মাস ধরে দুই থেকে তিন লাখ টাকা করে লোকসান গুনছে। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান দুটির জমানো টাকা থাকায় এ লোকসান চোখে পড়ছে না। তবে তিনটি প্রতিষ্ঠান গড়ে লাভে আছে বলে দাবি করছেন ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
বন্ধ ও লিজ দেওয়া প্রতিষ্ঠান : গাজীপুরের বাংলাদেশ গ্লাস ইন্ডাস্ট্রি (হাইসন্স) বন্ধ হয় ১৯৯৪ সালে। বন্ধ হওয়া অন্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে ১৯৯৩ সালে গাজীপুরের ইউনাইটেড টোব্যাকো কো¤পানি, ১৯৯০ সালে ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকার সিরকো সোপ ও ১৯৯৫ সালে মেটাল প্যাকেজেস লিমিটেড, একই বছর পোস্তগোলার পারুমা (ইস্টার্ন) লিমিটেড নামের জুতার কারখানা, ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদের বাক্সলী পেইন্টস, ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের কালুরঘাটের এমজেসিসি এবং ঢাকার মিরপুরে ট্রাস্ট আধুনিক হাসপাতাল। সর্বশেষ ২০০৮ সালে বন্ধ হয়ে যায় ট্রাস্টের সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠান কোমলপানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাবানী বেভারেজ। এছাড়া চট্টগ্রামের চট্টেশ্বরী রোডের দেলোয়ার পিকচার্স লিমিটেড ১৯৯৪ সালে লিজ দেওয়া হয়েছে।
গুটিয়ে ফেলা প্রতিষ্ঠান : ঢাকার আনিস ফিল্ম করপোরেশন গুটিয়ে ফেলা হয় ২০০৩ সালে। এছাড়া ১৯৮৮ সালে লাভজনক চু-চিন-চৌ চায়নিজ রেস্তোরাঁ, ফিল্ম ইকুইপমেন্ট ও মডেল ইলেকট্রিক্যাল, ১৯৯২ সালে বক্স রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ ও রাজধানী সুপার মার্কেটের হরদেও গ্লাস ওয়ার্কস ২০০৩ সালে দুর্বার অ্যাড গুটিয়ে ফেলা হয়।
পুঁজি তুলে নেওয়া প্রতিষ্ঠান : পুঁজি প্রত্যাহার করা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের মদিনা ট্যানারি, হামিদিয়া অয়েল, হামিদিয়া মেটাল, ঢাকার বেঙ্গল ট্যানারি, ন্যাশনাল ট্যানারি, ওমর সন্স এবং যান্ত্রিক পাবলিকেশন।
নিজস্ব তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি : প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো কল্যাণ ট্রাস্টের নিজস্ব তহবিল থেকে ৪০ কোটি টাকা ব্যাংকে আমানত গচ্চিত রেখে সেখান থেকে যে সুদ পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়ে ও প্রজন্মদের উচ্চ শিক্ষায় বঙ্গবন্ধু ছাত্রবৃত্তি চালু করা হয়েছে। ট্রাস্ট সূত্রে জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে একই সময়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী এ তহবিল থেকে টাকা পাবেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাবেন মাসে এক হাজার টাকা এবং চিকিৎসা ও প্রকৌশল খাতের এমন শিক্ষার্থীরা পাবেন দেড় হাজার টাকা। পাঁচ বছর পর্যন্ত তারা এ সুবিধা পাবেন।
(ঢাকাটাইমস/ ২৬ মার্চ/এইচএফ/এআর/ ঘ.)