logo ০১ মে ২০২৫
বিশ্বকাপে এশিয়ার সম্ভাবনা
মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল, ঢাকাটাইমস
২২ জুন, ২০১৪ ২৩:০০:১৯
image


ঢাকা: বিশ্বকাপে এশিয়ার সেরা সাফল্য বলতে গেলে ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সেমিফাইনালে পৌঁছে যাওয়া। পর্তুগাল, ইতালির মতো দলকে পরাজিত করে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল এশিয়ার প্রতিনিধিরা। সে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো স্বাগতিক দেশের মর্যাদাও পেয়েছিল জাপান ও দুই কোরিয়া। নিয়মিতই এশিয়ার প্রতিনিধি হয়ে বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করছে দক্ষিণ কোরিয়া। ব্যতিক্রম হয়নি এবারো। এশিয়ার বাকি তিনটি দেশ জাপান, ইরান ও অস্ট্রেলিয়া অংশ নিচ্ছে ব্রাজিল বিশ্বকাপে। ইতিহাস বলছে এশিয়া অঞ্চল থেকে সর্বাধিক আটবার বিশ্বকাপে এর আগে খেলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এবার দেশটির নবম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ। এশিয়া থেকে বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়াই সর্বপ্রথম প্রতিনিধিত্ব করেছে ১৯৫৪ সালে সুইজারল্যান্ডে আয়োজিত পঞ্চম বিশ্বকাপে। যদিও ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে ভারত সুযোগ পেলেও অংশগ্রহণ করেনি। জাপান পঞ্চম, অস্ট্রেলিয়া ও ইরান নিজেদের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে নামছে। চলমান বিশ্বকাপে দলগুলো কি লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমেছে আর ফলাফলই কেমন হতে পারে তা জানা যাবে এবারের প্রতিবেদনে। যদিও লাতিন আমেরিকার কঠিন পরিবেশে এশিয়ান দলগুলোকে নিয়ে তেমন মাতামাতি নেই। ফিফা র‌্যাংকিং এবং বিশ্বকাপের নৈপুণ্য বিশ্লেষণে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না।

দক্ষিণ কোরিয়া

বিশ্বকাপ ফুটবলের ২০তম আসরে বিশ্বকাপ জয়ের টার্গেট নিয়ে ব্রাজিল পৌঁছেছে এশিয়ার পরাশক্তি দক্ষিণ কোরিয়া। বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরে এশিয়ার পক্ষে প্রথম প্রতিনিধিত্বকারী দলটিও পার্ক জি সুংয়ের দেশটি। ১৯৫৪ সালে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় তারা। অনেকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় থেকে বিশ্বকাপে খেলতে এসে গ্রুপ পর্বেই ১৬ গোল হজম করে দুটি ম্যাচ খেলে। প্রথম বিশ্বকাপ খেলার জন্য এরপরের অপেক্ষাটা বহু বছরের। ৩২ বছর অপেক্ষার পর দ্বিতীয় বিশ্বকাপে খেলতে এসেছিল তারা। ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ মঞ্চে ফিরে আসলেও ফলাফলে তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। যদিও গোল হজমের কিছুটা পার্থক্য ছিল। তিন ম্যাচে একটি ড্র করলেও বাকি দুটিতে হেরে আবারও বিদায় নেয় গ্রুপ পর্ব থেকেই। তবে এরপর এশিয়া অঞ্চল থেকে তাদের বিশ্বকাপ খেলা হয়ে পড়েছিল নিয়মিত। ১৯৯০ সালে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে হার, ১৯৯৪ সালে স্পেন ও বলিভিয়ার সঙ্গে দুটি ম্যাচ ড্র করলেও প্রথম রাউন্ডের গন্ডি বাঁধা টপকানো সম্ভব হয়নি। তিন বিশ্বকাপ খেলে সেটিই ছিল তাদের সেরা সাফল্য। ১৯৯৮ সালে আবারো এক ড্র ও দুই পরাজয় নিয়ে গ্রুপে সবার নিচে থেকে বিদায়। তবে ২০০২ সালে নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজন করে বিগত দিনের ব্যর্থতার সব জ্বালা মিটিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে সেরা সাফল্যটা এ বিশ্বকাপেই দেখায় তারা। গ্রুপ পর্ব থেকে অপরাজিত দল হিসেবে দুই জয় আর এক ড্র নিয়ে শীর্ষ দল হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে চমক দেখায় দেশটি। প্রত্যাশা ছিল বিশ্বকাপ জয়েরও!

সেমিফাইনালের আগ পর্যন্ত কোনো দলই তাদের সামনে বড় বাধা হতে পারেনি। ইতালি ও স্পেনের মতো বড় দুই ফুটবল পরাশক্তিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায়। শেষ চার থেকে আর উপরে উঠা সম্ভব হয়নি দক্ষিণ কোরিয়ার। জার্মানির কাছে হেরে স্বপ্নযাত্রার আপাত সমাপ্তি হয় তাদের। পরে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে তুরস্কের কাছে হেরে বিশ্বকাপের সেরা সাফল্য হিসেবে চতুর্থ স্থান লাভ করে তারা। পরে ২০০৬ এবং ২০১০ বিশ্বকাপে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় দক্ষিণ কোরিয়া। গতবার দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেও ২০০৬ সালে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়। এবার বিশ্বকাপ বাছাইয়েও খুব একটা ভালো করতে পারেনি দলটি। বেশ চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সুযোগ করে নিয়েছে বিশ্বকাপে। এবারই প্রথম লাতিন আমেরিকায় বিশ্বকাপ আসরে খেলতে নামছে দলটি। তবে বাছাইয়ে যে সংগ্রাম করে ঠাঁই পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া তাতে দলটিকে নিয়ে খুব বড় প্রত্যাশা করতে পারছে না কেউ। শেষ রাউন্ডে ‘এ’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে দলটি। বর্তমানে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ৫৫ দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়া অঞ্চলে রয়েছে চার নম্বরে। তাদের এক ধাপ ওপরে থাকা উজবেকিস্তান প্লে¬-অফ খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য অনুষ্ঠিত ম্যাচে জর্দানের কাছে হেরে যায়। দক্ষিণ কোরিয়া দলটির সেরা তারকা পার্ক জি সাং ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ দলে না থাকায় ভালো করার সম্ভাবনা আরও ম্লান হয়ে গেছে দলটির। এখন দলের অন্যতম ভরসা আর্সেনালের হয়ে খেলা পার্ক চু ইয়ং। তিনি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ৬২ ম্যাচে করেছেন ২৪ গোল। গত বিশ্বকাপ খেলা পার্ক এবার আট জাতির এক আসরে ৯ গোল করে সবার নজর কাড়েন। তার ওপরই ভরসা করে দক্ষিণ কোরিয়া চমক দেখানোর প্রচেষ্টায় থাকবে। ‘এইচ’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম, আলজিরিয়া ও রাশিয়া।

২০০২ বিশ্বকাপের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের অন্যতম পুরোধা হং মিউং বো এবার দলটির কোচের দায়িত্বে। জাতীয় দলের হয়ে ১৩৬ ম্যাচ খেলা এই কোচ এবার বিশ্বসেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের লোগোতে তেড়ে আসা বাঘের ছবিটি এবার বাস্তবে প্রমাণ করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া। দুই বারের এশিয়ান কাপের সেরারা ২০১০ বিশ্বকাপে পৌঁছে গিয়েছিল শেষ ষোলতে। ৪-২-৩-১ ফরম্যাশনে খেলা দলটির বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে কোনো ভয় কাজ করছে না।

জাপান

দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্বজয়ের স্বপ্ন থাকলেও এশিয়ার প্রধান ভরসা কিন্তু জাপান। ২০১৩ সালে ব্র্রাজিলের মাটিতে কনফেডারেশন কাপ খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে মরিয়া দেশটির ফুটবলাররা। কোচ আলবার্তো জাক্কেরানি তাই খেলোয়াড়দের নির্ভয়ে থেকে স্বাভাবিক খেলা খেলে যেতে বলেছেন। ব্রাজিল আসর নিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ আসরে খেলতে নামবে সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। ১৯৯৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ করে নেওয়া দলটি এরপর থেকে আর কোনো বিশ্বকাপই মিস করেনি। যদিও বিশ্বকাপ মঞ্চে বড় কোনো সাফল্যও পায়নি দলটি। তবে ২০০২ সালে নিজেদের পরিচিত মাঠে এবং গত দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ড খেলেছে। এবার বাছাই পর্বেও বেশ ঝলক দেখিয়েছে জাপান। এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে শেষ রাউন্ডে সর্বাধিক ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সবার আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে জাপান। দলটির শক্তির বড় গভীরতা ধরা হচ্ছে মিডফিল্ডে। এখানে আছেন দুই জনপ্রিয় মিডফিল্ডার এসি মিলানে খেলা কেইসুকি হোন্ডা ও ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডে খেলা শিনজি কাগাওয়া। এছাড়াও মাঝ মাঠে আছেন গাম্বা ওসাকার হয়ে খেলা ইয়াসুহিতো এনডোর মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। হোন্ডার পাশাপাশি এবার দলের বড় তারকা হিসেবে দেখা হচ্ছে কাগাওয়াকেই। বর্তমানে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে খেলা ২৫ বছর বয়সী এ তারকা জাপানের হয়ে ৫৪ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৭ গোল। তিনি মূলত নজর কেড়েছেন গত বছর প্রথম এশিয়ান ফুটবলার হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে নরউইচের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে। তার পায়ের দিকে এবার তাকিয়ে থাকবে জাপান।

একটা সময় এশিয়ার পরাশক্তি হিসেবে বলা হলে খুব খুশি হতো জাপান। কিন্তু এখন তাদেরকে এই নামে ডাকা হলে নাখোশ হয়। এশিয়ার কোটায় খেললেও নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। শেষ দুইবারের আসরে শেষ ষোলতে পৌঁছে গিয়েছিল জাপান। সাতবার অংশ নিয়ে চারবারই এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হয় দেশটি। ১৯১৭ সালে ফুটবল খেলা শুরু করে ১৯৬৮ সালে অলিম্পিকে ব্রোঞ্চ পেয়ে প্রথম বড় সাফল্য লাভ করে। এবার ‘সি’ গ্রুপে লাতিন আমেরিকার জেগে ওঠা শক্তি কলম্বিয়া, ইউরোপের গ্রিস এবং আফ্রিকার শক্তি আইভরিকোস্টের বিরুদ্ধে খেলতে হবে তাদের। নীল সামুরাইরা কেমন করে সেটাই দেখার বিষয়।

ইরান

লুইস ফিগো, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের সাবেক গুরু কার্লোস কুইরোজ এবার ইরানকে বিশ্বকাপে নিয়ে এসে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন অপরাপর দলগুলোকে। চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপের বনেদি আসরে খেলতে আসছে এশিয়ার প্রতিনিধিরা। এর আগে ১৯৭৮, ১৯৯৮ ও ২০০৬ সালে বিশ্বকাপে খেলেছিল দেশটি। প্রথম বিশ্বকাপ খেলার পর তাদের  অপেক্ষা ছিল পাক্কা ২০ বছরের। ২০ বছর অপেক্ষা শেষে ১৯৯৮ সালে ফিরেছিল বিশ্বকাপ মঞ্চে। তবে ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারেনি। ২০০২ সালে নিজেদের মহাদেশ ও গত দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে খেলার টিকিট জোগাতে ব্যর্থ হয় ইরান। এবার চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে নামছে দলটি। এর আগে ১৯৭৮, ১৯৯৮ ও ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে ইরান। বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচ খেলে ৬টিতেই হার দেখেছে ইরান। এক জয় আর দুই ড্র আছে সাফল্যের খাতায়। দলের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ভাবা হচ্ছে তারকা মিডফিল্ডার জাভেদ নিকোনামকে। ৩৩ বছর বয়সী এ অভিজ্ঞ ফুটবলার ১৩৭ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩৭ গোল। বর্তমানে এশিয়ার এক নম্বর দল হলেও খুব বেশি প্রত্যাশা করার মতো দল নয় তারা। তবে তারা নিজেদের শক্তিমত্তা দেখাতে প্রস্তুত রয়েছে। ফিফার সদস্য হওয়ার পর ১৯৫০ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ইরান। তারপরের সময়টাতে যতটা উন্নতি হওয়ার কথা তা হয়নি। তিনবারের এশিয়ার সেরারা মাঝে ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধ লাগার কারণে অনেকটা সময় বন্ধ ছিল ফুটবল কার্যক্রম।

 বেশিরভাগ খেলোয়াড় আরব দেশগুলোর বিভিন্ন লীগে খেললেও সাবেক তারকা খেলোয়াড় আলী দাইয়ি চাইছেন, অপরাপর দলগুলোকে নিজেদের অবস্থানটা বুঝিয়ে দিতে। যদিও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ রাউন্ডে ‘এ’ গ্রুপ থেকে শীর্ষে থেকেই বিশ্বকাপের টিকিট ছিনিয়ে নিয়েছে দেশটি। এবার তাদের প্রতিপক্ষ ‘এফ’ গ্রুপে লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে শীর্ষস্থান নিয়ে বিশ্বকাপে আসা লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা, নবাগত বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং আফ্রিকার সুপার ঈগল নাইজেরিয়া। ১৬ জুন নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে এবার বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলার পরই বোঝা যাবে কতদূর যেতে পারবে ইরান। অপেক্ষা এখন সেটারই।

অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ানদের আদর করে ডাকা হয় ’সকারুজ’ নামে। ১৯২২ সালে ফুটবল খেলা শুরুর পর তাদের খেলতে হতো নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে। এখন যারা ক্রিকেটে দেশটির নিয়মিত প্রতিপক্ষ। শুরুতে ১১ জনের দল গড়াই কঠিন ছিল তাদের জন্য। দিনে দিনে পরিস্থিতি পাল্টেছে। ক্রিকেট আর রাগবির পাশাপাশি দেশটির তরুণরা এখন ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নও দেখা শুরু করেছে। ৪০ বছর আগে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ করে নেয়া অস্ট্রেলিয়া। কোনোবারই তেমন চমক দেখাতে পারেনি। এই ৪০ বছরে মাত্র চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে নামবে দলটি। তবে আগে অস্ট্রেলিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের বাছাই উৎরে আসায় দলটির জন্য বেশ সহজ ছিল বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা। এ কারণেই গত দুইবার এশিয়া অঞ্চলের সঙ্গে বাছাই খেলতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। সেদিক থেকে বড় চ্যালেঞ্জ নিয়েই এবারের বিশ্বকাপ খেলার টিকিট জোগাড় করতে হয়েছে তাদের। ২০০৬ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো প্রথম রাউন্ডের গন্ডি পেরিয়ে চমক দেখিয়েছিল অসিরা। দলের বড় তারকা ৩৪ বছর বয়সী অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড টিম কাহিল। অসিদের হয়ে ৬৭ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৩১ গোল। তবে ২০০৬ সালের পুনরাবৃত্তি করে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা বেশ কঠিন হবে এবার। ১৯৭৪ সালে অনেকটা অ্যামেচার দল নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। তারপর দর্শক হিসেবেই কেটেছে অনেক আসর।

 প্লে-অফে কখনো আর্জেন্টিনা, ইরান কিংবা ইসরাইলের কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙের বেদনায় পুড়তে হয়েছে। গ্লাস হিডিঙ্কের হাত ধরে ২০০৫ সালে সেরা সময় কাটিয়েছে তারা। এখনো অনেক বড় দলের জন্য হুমকি টিম কাহিলরা। এবার তুলনামূলকভাবে কঠিন গ্রুপে পড়েছে তারা। ‘বি’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেন, গতবারের রানার্সআপ হল্যান্ড এবং চিলি। চিলির বিরুদ্ধে ১৩ জুন নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমাণ দেওয়ার ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ফিফা র‌্যাংকিংয়ের ৫৯ নম্বর এ দলটি।



[email protected]