logo ০৬ মে ২০২৫
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গণমাধ্যম বন্ধের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১৭ জানুয়ারি, ২০১৫ ১৬:০১:১৪
image


ঢাকা: সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গণমাধ্যম বন্ধ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিকদের দুটি অংশের নেতারা। তাঁদের দাবি, এ কারণে সাংবাদিকেরা চাকরি হারাচ্ছেন। সরকারের এসব কর্মকাণ্ড সংবিধানে দেওয়া জনগণের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এর বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশ এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের নেতারা শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন।

প্রেসক্লাবে হামলার প্রতিবাদ, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেওয়া, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ, সেন্সরশিপ প্রত্যাহার, সম্প্রচার নীতিমালা বাতিল, মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও সাগর-রুনি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে জানানো হয়,  আন্দোলন কর্মসূচি চলবে। আজ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সমাবেশে বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদ অভিযোগ করেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিডিয়াবান্ধব নন। টেলিভিশনগুলো এখন হাসিনা, মায়া, ইনু আর সুরঞ্জিতের টিভিতে পরিণত হয়েছে। সারা দেশের আন্দোলনের চিত্র টিভিতে নেই। সরকারের সমালোচনা করলে অবরুদ্ধ করা হয়। দলের অফিসে তালা দেওয়া হয়।

শওকত মাহমুদ বলেন, তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। একে আমরা স্বাগত জানাই না। সরকার পতনের ঘণ্টা শুনতে পাচ্ছি।

সরকারকে উদ্দেশ করে এই সাংবাদিক নেতা বলেন,  ‘সংলাপে বসুন। নইলে গণ-অভ্যুত্থানের মোকাবিলা করতে হবে। যারা গুলি চালাবে,  তারাই বন্দুকের নল ঘুরিয়ে আপনাদের দিকে তাক করবে।’

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী অভিযোগ করেন,  সরকারের বিরুদ্ধে যাতে কথা বলা না যায়,  এ জন্য গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে। বিএফইউজের সাবেক সভাপতি আবদুর রশীদ বলেন, স্বাধীনতার আগে ও পরে যখনই দেশে সামরিক শাসন জারি হয়েছিল, তখন মানুষ এই প্রেসক্লাবে এসে কথা বলেছে। এখন প্রেসক্লাবেও কথা বলা যায় না। হামলা করা হচ্ছে।

সরকারপন্থী সাংবাদিক নেতাদের উদ্দেশে আবদুর রশীদ বলেন, ‘আপনারা সরকারের দালাল। এ কারণে চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়াতে পারছেন না।’

বিএফইউজের মহাসচিব এম এ আজিজ বলেন, পুলিশ, র্যা ব ও বিজিবি প্রধানদের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, দেশে যুদ্ধ চলছে। তাঁদের বক্তব্যে দেশজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা মীর আহমেদ মীরু, কাদের গণি, শহীদুল ইসলাম, আবদুল মান্নান, এরফানুল হক প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/এমএম)