logo ১৯ এপ্রিল ২০২৫
নেতা নয়, কর্মী হিসেবে এই পদ পেয়েছি
১০ এপ্রিল, ২০১৬ ১৮:১৩:২৫
image



দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের ২১ দিন পর যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ১৬ পদে নাম ঘোষণা করেছে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তাদের মধ্যে ১৩ পদেই এসেছে নতুন মুখ।






নয়টি সাংগঠনিক পদের সাত নতুন মুখের মধ্যে আছেন ডা. সাখাওয়াত হাসান (জীবন)। দলের একসময়ের প্রভাবশালী নেতা, সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর জায়গায় আনা হয়েছে এই সাবেক চিকিৎসক নেতাকে। তিনি অবশ্য আগের কমিটিতে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।






নতুন কমিটিতে নতুন পদ পাওয়ার পরদিন রবিবার ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় সাখাওয়াত হাসানের। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন যোগ্য মনে করেই হয়তো তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন।






টেলিফোনে নাতিদীর্ঘ সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক বোরহান উদ্দিন।






ঢাকাটাইমস: নতুন কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইছি।






ডা.সাখাওয়াত: বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দলে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি। নিঃসন্দেহে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ। এ ছাড়া এই জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছেন সিলেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলী। বর্তমান সরকার তাকে গুম করেছে। দোয়া করি তিনি সুস্থভাবে দ্রুত ফিরে আসবেন আমাদের মাঝে। এবং দলের হাইকমান্ড তাকে ‍উচ্চ পদে আসীন করবেন।






ঢাকাটাইমস: এই পদই আপনার প্রত্যাশায় ছিল, নাকি অন্য কিছু?  






ডা.সাখাওয়াত: বিএনপির চেয়ারপারসন অনেক আগে থেকেই আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করার জন্য বলেছিলেন; কিন্তু আমাদের নেতা এম ইলিয়াস আলীর বিষয়ে একটি সুরাহা না হওয়া পর‌্যন্ত ওই পদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি। অনেকের মতো আমরাও ধারণা ছিল, সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে পারে। তারপরও বলব, নেত্রী যোগ্য মনে করায় হয়তো এই দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন।






ঢাকাটাইমস: গুরুত্বপূর্ণ একটি পদের দায়িত্ব পাওয়াটা কীভাবে দেখছেন?






ডা.সাখাওয়াত: দেখুন, সাংগঠনিক সম্পাদক কিন্তু কোনো নেতার পদ নয়। এটা একজন কর্মীর পদ বলে আমি মনে করি। আর একজন ভালো কর্মী মনে করেই হয়তো আমাকে এই পদে নেয়া হয়েছে। এর আগে আমি যখন যে পদে থেকেছি, সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি কেন্দ্র থেকে আসা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে। সিলেট মহানগর ও অন্যান্য জেলায় ব্যালটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করেছি।






ঢাকাটাইমস: নতুন পদে আপনার আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা কী?






ডা.সাখাওয়াত: সবার কাছে দোয়া চাই, যে দায়িত্ব দল আমাকে দিয়েছে, তা যেন আগামী দিনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পালন করতে পারি। বর্তমানে আমার জেলার ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন চলছে। নির্বাচনী ব্যস্ততা শেষ হলে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। পাশাপাশি অন্য নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করে নির্দেশনা নেব। পরবর্তী সময়ে বিভাগের দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করব।






ঢাকাটাইমস: দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল সম্পর্কে জানতে চাইছি।






ডা. সাখাওয়াত: সব দলেই দ্বন্দ্ব-কোন্দলের পাশাপাশি নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকে। সিলেট বিএনপিতেও প্রতিযোগিতা আছে, তবে আশা করি, সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নেতৃত্ব নির্বাচন করলে সমস্যা হবে না।






ঢাকাটাইমস: মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।






ডা. সাখাওয়াত: আপনাকে এবং ঢাকাটাইমসকেও ধন্যবাদ।






(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/মোআ)