logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
বাবা হত্যায় ছেলে ও ভাই হত্যায় ভাইয়ের ফাঁসি
বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
৩০ আগস্ট, ২০১৬ ১৫:২৪:৪৬
image



বাগেরহাটে বাবা হত্যার দায়ে ছেলেকে এবং ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে বড়ভাইকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছে পৃথক দুটি আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের অর্থদণ্ডও দিয়েছে আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ভাবি আখি বৈরাগীকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।






মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফজলুল হক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মোহম্মদ রেজাউল করিম এই পৃথক আদেশ দেন।






ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া ভবসিদ্ধুর অনুপস্থিতিতে এই আদেশ দেয়া হয়। অন্যদিকে মোল্লাহাট উপজেলার তুহিন কাজী (২৭) রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।






দণ্ডাদেশ পাওয়া ভবসিদ্ধু বৈরাগী বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঢেউয়াতলা গ্রামের প্রয়াত অমূল্য বৈরাগীর ছেলে।






রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলি শেখ মোহম্মদ আলী মামলার নথির বরাত দিয়ে বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট ভোররাতে ছেলে তুহিন কাজী তার বাবা আবু সাঈদ কাজীকে ঘুমে থাকা অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। এই ঘটনায় নিহতের মেয়ে সুমী আক্তার তার ভাই তুহিন কাজীকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) তুহিন মন্ডল তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আসামি তুহিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত তুহিনকে ফাঁসি ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।






অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌশুলি সীতা রাণী দেবনাথ মামলার নথির বরাত দিয়ে বলেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঢেউয়াতলা গ্রামের প্রয়াত অমূল্য বৈরাগীর বড়ছেলে ভবসিদ্ধু বৈরাগীর সঙ্গে তার ছোটছেলে অখিল বৈরাগী (১৮) পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে ২০০৮ সালের ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে দশটার দিকে অখিল তার মাছের ঘেরে কাজ করার সময় আকস্মিকভাবে তার বড়ভাই ভবসিদ্ধু এবং তার স্ত্রী আখি সেখানে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করেন। এই ঘটনার পরদিন নিহতের চাচাতো ভাই গুরুদাস বৈরাগী বাদী হয়ে ভবসিন্ধু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার আলী তদন্ত শেষে নিহতের বড় ভাই ও ভাবির বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিচারক ৯জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ভবসিদ্ধুকে ফাঁসি ও তার স্ত্রীকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিচারক ভবসিদ্ধুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ কে আজাদ ফিরোজ টিপু।






(ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)