logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
নিজাম হাজারীর এমপি পদ নিয়ে রায় পড়া শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
৩০ আগস্ট, ২০১৬ ১৭:১৬:৪১
image



ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর সাংসদ পদ চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের রায় পড়া শুরু করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার রায়ের অংশবিশেষ পাঠ করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে রায় পড়া শুরু হয়ে বিকাল পোনে চারটা পর্যন্ত চলে। আজ উভয়পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য পাঠ শেষ করে আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত আদালত মুলতবি করা হয়।






বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রায় পড়া শুরু হয়।






নিজাম হাজারীর পক্ষে এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও অ্যাডভোকেট নরুল ইসলাম সুজন। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী।  






গত ২৩ আগস্ট এ রিটের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত। এর আগে গত ১৭ আগস্ট রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ ছিল।






‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে ২০১৪ সালের ১০ মে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷ এতে বলা হয়, ২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সাংসদ পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।






রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে। সে হিসেবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সাংসদ হতে পারেন না। অথচ তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সাংসদ হয়েছেন।






রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট রুল দেন। তবে পরে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চে এই রুল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় উঠলেও বেঞ্চ দুটি শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন। গত ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের এই বেঞ্চে রুল শুনানি শুরু হয়।






এর আগে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী কারা মহাপরিদর্শকের পাঠানো প্রতিবেদন ১৯ জুলাই আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, ১০ বছরের সাজার মধ্যে নিজাম হাজারী সাজা খেটেছেন ৫ বছর ৮ মাস ১৯ দিন। কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সাজা রেয়াত পেয়েছেন ১ বছর ৮ মাস ২৫ (৬২৫ দিন)। রেয়াতসহ মোট সাজা ভোগ করেছেন ৭ বছর ৫ মাস ১৪ দিন। এখনো সাজা খাটা বাকি আছে ২ বছর ৬ মাস ১৬ দিন। তিনি মুক্তিপান ২০০৬ সালের ১ জুন।






(ঢাকাটাইমস/ ৩০ আগস্ট/ এমএবি/ এআর/ঘ.)